চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নীচে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান শৈত্য প্রবাহে সূর্যের দেখা না মেলায় ঘন-কুয়াশার সাথে উত্তরে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠান্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম শীতকষ্টে ভুগছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছেনা শ্রমজীবীরা।

তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় নিম্নগামী থাকায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতজনিত রোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বৃদ্ধরাও।

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৩৮ জন রোগী। যাদের মধ্যে ৩৩ জনই শিশুর। এদিকে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন শিশু। এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় দ্বিগুন রোগী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্তত: ৫শ থেকে ৮শ জন রোগী।

কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায়, গত ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলার তাপমাত্রা অবস্থান করছিল ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে। ১৬ জানুয়ারি তাপমাত্রা একটু উর্ধগামী থাকলেও মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারি সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, শীতের শুরু থেকেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে আমরা এই রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রামে শীতার্ত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরো ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।