মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন থেকে আর রেটিং পেয়েছে মার্টিন স্করসিসের ‘কিলার্স অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ছবিটি। ভক্তদের মনে প্রশ্ন, কেন এটিকে প্রাপ্তবয়স্কদের ছবি বলা হচ্ছে?
জানা গেছে মার্টিন স্করসিসের অন্য আর রেটেড ছবিগুলোর থেকেও সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এই ছবিতে সহিংসতা ভয়াবহভাবে দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছবিতে অনেক ‘ভীতিকর’ দৃশ্য এবং ‘আপত্তিকর’ ভাষা বলে এটি আর রেটিং পেয়েছে বলে জানিয়েছে মোশন পিকচার্স।
‘দ্য ওলফ অব ওয়াল স্ট্রিট’ এবং ‘গ্যাংস অব নিউ ইয়র্ক’ আর রেটিং পেয়েছিল নগ্নতার কারণে। ‘কিলার্স অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’-এ দেখানো হয়েছে রক্তক্ষয়, বিস্ফোরণ, বিষ প্রয়োগ, প্রভাবশালীদের নির্যাতন ও সন্ত্রাস। মানুষ নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করার দৃশ্য আছে। খণ্ডিত ও বিকৃত মৃতদেহ প্রদর্শন করা হয়েছে একাধিক দৃশ্যে।
‘কিলারস অফ দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ সাড়ে তিন ঘণ্টার ছবি। এমন নয় যে অন্য প্রতিটি দৃশ্যই সহিংসতায় ভরা, তবে প্রচুর সহিংসতা আছে। ছবিতে অনেকগুলো ‘অ্যাডাল্ট’ দৃশ্যও আছে। সিনেমার চরিত্রগুলোর একে অপরের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলার দৃশ্যও আছে অনেকগুলো।
‘কিলার্স অব দ্য ফায়ার মুন’ মার্টিন স্করসিসের ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়েস্টার্ন ঘরানার ছবি। এই ছবির মূল চরিত্রে দেখা যাবে রবার্ট ডি নিরো এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওকে। ডেভিড গ্রানের বই কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন: দ্য ওসেজ মার্ডারস অ্যান্ড দ্য বার্থ অব দ্য এফবিআই অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই ছবি।
‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ছবির গল্প রচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঞ্চলের ‘ওসেজ’ জাতিকে কেন্দ্র করে। সে সময় মাথাপিছু আয়ের হিসেবে সবচেয়ে ধনী ছিল ‘ওসেজ’ জাতি। কিন্তু যখন তাদের ভূখণ্ডে প্রাকৃতিক সম্পদের খনি আবিষ্কৃত হতে থাকে, তখন থেকেই সেখানে হত্যা ও অরাজকতা বাড়তে শুরু করে। এর তদন্তের ভার নেয় এফবিআই। তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর সব ষড়যন্ত্রের ছক। ‘কিলারস অফ দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন এরিক লোথ। সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামি ২০ অক্টোবর।
সূত্র: স্ক্রিন র্যান্ট