চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রিন্স হ্যারির বইটির অনুলেখক কে এই মোহরিঙ্গার!

সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ হওয়ার পরপরই বিশ্বব্যাপী পাঠকদের কাছে তুমুল আলোচনায় আসে বইটি। মার্কিন সাংবাদিক এবং লেখক জন জোসেফ মোহরিঙ্গার হচ্ছেন হ্যারির ‘স্পেয়ার’ শিরোনামের বইটির অনুলেখক।

বইটি গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর ৫৮ বছর বয়সী এই লেখক বিশ্ব জুড়ে নেটিজেনদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। মোহরিঙ্গার ২০০০ সালে তিনি তার ‘ক্রসিং ওভার’ নিবন্ধের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছিলেন।

প্রিন্স হ্যারির বই ‘স্পেয়ার’ বছরের সবচেয়ে বিতর্কিত স্মৃতিকথা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বইটি রচনা করার জন্য অনুলেখক হিসেবে প্রিন্স হ্যারি পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক জে আর মোহরিঙ্গারকে বেছে নেন।

জেআর মোহরিঙ্গার আসলে কে?

জন জোসেফ মোহরিঙ্গার একজন স্বনামধন্য আমেরিকান ঔপন্যাসিক এবং সাংবাদিক। তিনি জে আর মোহরিঙ্গার নামে অধিক পরিচিত। মোহরিঙ্গার নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ম্যানহাসেটের গ্রামে বেড়ে ওঠেন। তিনি নিউ হেভেন সিটির ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং নিউইয়র্ক টাইমস এ সংবাদ সহকারী হিসেবে তার সাংবাদিকতা পেশা শুরু করেন।

তিনি রকি মাউন্টেন নিউজ এবং লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের মতো বেশ কয়েকটি আমেরিকান প্রকাশনার জন্য কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি ফিচার রাইটিং বিভাগে “রিসারেকটিং দা চ্যাম্প” শিরোনামের ফিচারের জন্য পুলিৎজার পুরস্কারের চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। ২০০০ সালে তিনি তার ‘ক্রসিং ওভার’ নিবন্ধের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পান।

২০০৫ সালে, মোহরিঙ্গার রচিত স্মৃতিকথা “দ্য টেন্ডার বার” প্রকাশ পায়। বইটিতে তার শৈশবের চ্যালেঞ্জ, তার মায়ের সাথে তার সম্পর্ক এবং অ্যালকোহলের সাথে তার সংগ্রাম নিয়ে কথা বলেন যা সেই বছর বেস্ট সেলার ছিল, যার উপর ভিত্তি করে ২০২১ সালে জর্জ ক্লুনি একটি মুভি নির্মাণ করেন এবং এতে বেন অ্যাফ্লেক কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন।

মোহরিঙ্গার বর্তমানে তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সাথে ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেতে বসবাস করছেন।