পুতিনের ‘পাচক’ নামে পরিচিত প্রিগোঝিন ২০১৪ সালে ‘ওয়াগনার মার্সিনারি গ্রুপ’ নামে বেসরকারি বাহিনী তৈরি করেন। রুশ সেনাকে ইউক্রেন হামলায় সাহায্যের পাশাপাশি দেশে দেশে ভাড়ায় যুদ্ধ করে বেড়ানো এই বাহিনী বিষয়ে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।
শুক্রবার (২৩ জুন) প্রিগোঝিন অভিযোগ তুলেছিলেন, রাশিয়ার সেনা তার ওয়াগনার গ্রুপের উপরই আক্রমণ চালাচ্ছে। তখন প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছিল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান। দক্ষিণ রাশিয়ার রস্তভ-অন-ডন শহর হেলায় দখলও করে এই ভাড়াটে বাহিনী।
এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি বলেন, ‘ওয়াগনার দেখিয়ে দিয়েছে, রাশিয়া আসলে কত দুর্বল! পুতিন খুব ভয় পেয়েছেন। ওয়াগনারের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে ক্রেমলিনের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা, গৃহযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে পশ্চিম কী করে বসে!’
তবে শনিবার (২৪ জুন) বেলারুশের নেতার সাথে সফল বৈঠকের পর প্রিগোঝিন জানিয়েছেন, তিনি তার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, মস্কোমুখী পথ থেকে ফিরে আসতে। কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়, মস্কো দখলে যে রক্তপাত হবে, তা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। ক্রেমলিনের মুখপাত্রও জানিয়েছেন, ওয়াগনারের প্রধান রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশ যেতে সম্মত হয়েছেন।
বৈঠকের পর রাশিয়ার আইন মেনে তার বিরুদ্ধে যে কোনও রকম ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া আটকাতে প্রিগোঝিন বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের কারণে তাঁর উপর যে সব ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে, তা-ও প্রত্যাহার করবে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন পুতিন। গত ৩৬ ঘণ্টার বিদ্রোহ পুতিনের একটানা ২৩ বছরের শাসনের উপর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।