বাগেরহাট জেলার শরণখোলার সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামের পহলান বাড়ির মেয়ে মেহনাজ সৎ মা, ভাই ও বোনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সেখান থেকে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই অসহায় এই মেয়েটির।
জানা যায়, ১৭ জুলাই সৎ মা ও সৎ ভাই বোনেরা মাত্র এক কাঠা বাস্তুভিটা দখলের জন্য মেহনাজের উপর বর্বর নির্যাতন চালায়। পাথরের উপর দুই পা রেখে হাতুড়ি দিয়ে হাঁটুর নিচ থেকে তার দুই পা গুড়িয়ে দেয়। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে পুলিশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে একটি মামলাও হয়েছে।
নানাবিধ অসুবিধার মধ্যেও মেয়েটি এতোদিন সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিল। দুই পায়ে ব্যান্ডেজ বাধা মেহনাজকে আজ শনিবারের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ চেয়ে এবং তার মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য হাসপাতালের পরিচালকের কাছে বারবার গিয়েও কোন লাভ হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, সাত বছরের মেয়ে নওশীনকে নিয়ে মেহনাজ এখন কোথায় যাবে? জনগণের টাকায় গড়া হাসপাতালে এমন একজন রোগীর সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যদি ঠাঁই না হয়, তাহলে এই সব চিকিৎসালয় কাদের জন্য?
যে কেউ চাইলে সদর হাসপাতালে ভর্তি অসহায় মেহনাজের পাশে দাঁড়াতে পারেন। মেহনাজের মোবাইল নম্বর: ০১৯৪৭-৮৬৭২২৭