এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত চিঠি হস্তান্তর করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকায় আসেন তিনি।
তার আগেই এক বৈঠকে মোদির লেখা চিঠিটি তারেক রহমানের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চিঠিতে তারেক রহমানের প্রতি লেখা হয়, ‘‘প্রিয় তারেক রহমান সাহেব, আপনার মা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপারসন, মহামান্য বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই গভীর ব্যক্তিগত ক্ষতির জন্য আমার আন্তরিক সমবেদনা গ্রহণ করুন। তার আত্মার চির শান্তি কামনা করি।
চিঠিতে মোদি উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের জুন মাসে ঢাকায় বেগম সাহিবার সাথে আমার সাক্ষাৎ এবং আলোচনার কথা আমি আন্তরিকভাবে স্মরণ করছি। তিনি ছিলেন বিরল দৃঢ় সংকল্প এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের একজন নেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে, সেইসাথে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মোদি লিখেন, তার মৃত্যুতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি হলেও, তার দৃষ্টিভঙ্গি এবং উত্তরাধিকার অক্ষত থাকবে। আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আপনার দক্ষ নেতৃত্বে তার আদর্শ এগিয়ে যাবে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর ও ঐতিহাসিক অংশীদারিত্বের নতুন সূচনা এবং সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য একটি পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।
জাতীয় শোকের এই মুহূর্তে, আমার সমবেদনা বাংলাদেশের জনগণের সাথেও, যারা তাদের ইতিহাস জুড়ে অসাধারণ শক্তি এবং মর্যাদা প্রদর্শন করেছেন। আমি নিশ্চিত যে তারা তাদের ভাগ করা মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং জাতীয় ঐক্যের গভীর অনুভূতি দ্বারা পরিচালিত হবে, যখন তারা শান্তি ও সম্প্রীতির সাথে এগিয়ে যাবে।
মোদি লিখেন, দয়া করে আবারও আমার আন্তরিক সমবেদনা গ্রহণ করুন। আমি সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করছি যে, তিনি আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠার শক্তি এবং সাহস দিন। আপনার ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্যও আমি আপনার প্রতি আমার শুভকামনা জানাই।’’









