স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টুয়েন্টি স্কোয়াডে শিমরন হেটমায়ার, আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডারকে না দেখে উচ্চাভিলাসী হয়েছিল বাংলাদেশ সমর্থকরা। তবে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর দলকে ভুগিয়েছে তারুণ্য নির্ভরই দ্বিতীয় সারির এই দলটি। প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও শেষ দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে নিকোলাস পুরানের দল। বাজে হারের পর ম্যাচ শেষে লিটন দাস জানিয়েছেন উইন্ডিজ ব্যাটারদের মতো বড় শট খেলার সামর্থ্য তাদের নেই। বোলারদের মাথায়ও কাজ করে মারতে পারে ক্যারিবীয় ব্যাটাররা।
‘ভালো ভালো দল থেকে আমরা পিছিয়ে টি-টুয়েন্টিতে। আমাদের অনেক কাজ করার আছে। আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। অনেকে টি-টুয়েন্টিকে স্কিল, টেকনিক-ট্যাকটিকসের খেলা বললেও আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার হিটিংটা খুব দরকার পড়ে। এই জিনিসটাতে আমরা অনেক পিছিয়ে।’
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ বোলারদের নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল উইন্ডিজ ব্যাটারদের কাছে। ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ৩৫ রানের হার দেখতে হয়েছে মাহমুদউল্লার দলের। শেষ ম্যাচে ১৬৪ রানের টার্গেট দিয়েও আটকে রাখা যায়নি পুরান-মায়ার্সদের। ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলেছে দলটি। পুরো সিরিজ জুড়ে যেভাবে বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করেছে উইন্ডিজ ব্যাটারা। সারাক্ষণ সেই ভয় বোলারদের মাথায় কাজ করছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন লিটন।
‘আজকের ম্যাচে বোলারদের প্রয়োগে একটু সমস্যা ছিল। সব বোলার নিজেদের জায়গায় ঠিকঠাক বল করতে পারেনি। পুরান এবং মায়ার্সকে ক্রেডিট দিতে হবে, ওরা ভালো ব্যাটিং করেছে। অনেক ভালো ভালো বলেও ওরা মেরেছে। এই জিনিসটা ওদের প্লাস পয়েন্ট ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয় এই জিনিসটা কাজ করেছে বোলারদের মাথায় যে একটু ১৯-২০ হলেই মেরে দিতে পারে উইন্ডিজ ব্যাটারা।’
বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে বড় ইনিংস খেলা দুই ব্যাটার লিটন ও আফিফ হোসাইনের স্ট্রাইক রেট ছিল যথাক্রমে ১১৯ ও ১৩১। ৪১ বলে ২ ছয় ও ৩ চারে লিটন করেন ৪৯। অন্যদিকে ২ ছয় ও ২ চারে ৩৮ বলে ৫০ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। বিপরীতে উইন্ডিজ ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেটের দিকে তাকালেই পার্থক্য পরিষ্কার হয়। ১৪৪ গড়ে ৫ ছয় ও ২ চারে ৩৮ বলে ৫৫ রান করেন আউট হন মায়ার্স। ১৮৯ গড়ে ৫ ছয় ও ৫ চারে ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন উইন্ডিজ অধিনায়ক।
‘তারা জেনেটিক্যালি অনেক পাওয়ারফুল, যেটা আমি না বা আমাদের টিমের কেউই না। তারা চাইলেই বড় গ্রাউন্ডসেও ছয় মেরে দিতে পারে যেটাতে আমি বা আমাদের দলের কেউই সক্ষম নয়। আমরা সব সময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আপনারা দেখবেন, আমাদের কিন্তু চারই বেশি হয়। ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্যটা সবসময় থাকে। বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়া খেলব, সেখানে মাঠ অনেক বড় থাকবে। এই জিনিসটা আমাদের অনেক ভোগাবে। আমরা যত পারব অনুশীলন করব, গেম খেলব, এই জিনিসটা যত তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে পারি, আমরা ভালো আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারব বিশ্বকাপে।’