টি-টুয়েন্টির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ড গড়েছেন ইংল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটার ফিল সল্ট। তার সঙ্গে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন জস বাটলার ও লিয়াম লিভিংস্টোন। আর তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭৫ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-২ সমতায় ব্যবধানে ফিরেছে ইংল্যান্ড।
সল্টের টানা দুই ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি টি-টুয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম ঘটনা। গত ম্যাচের সেঞ্চুরির পর আইপিএলে অবিক্রিত থাকার ঝাল মেটালেন হয়তো ক্যারিবীয় বোলারদের উপর।
ত্রিনিদাদে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ২৬৭ রান তোলে জশ বাটলারের ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের বেশি তুলতে পারেনি রোভম্যান পাওয়েলের দল। চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড দুদল মিলে মোট ৪৫৯ রান করেছে, যা দল দুটির ম্যাচে মোট রানের সর্বোচ্চ।
ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরির পথে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করেছেন সল্ট। তার খেলা ৫৭ বলে ১১৯ রানের ইনিংসটি ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে টি-টুয়েন্টিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ডানহাতি ব্যাটার অ্যালেক্স হেলসের দখলে, তার ইনিসংটি ছিল ১১৬ রানের।
টি-টুয়েন্টিতে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটিও নিজের করেছেন সল্ট। ১১৯ রানের পথে ১০টি ছক্কা মেরেছেন যা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ, আগের রেকর্ডটি ছিল লিয়াম লিভিংস্টোনের ৯টি। এক ইনিংসে বাউন্ডারিতে হেলসের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন এ ডানহাতি। তিনি নিয়েছেন মোট ৮৮ রান, হেলসের রেকর্ড ছিল ৮০ রানের।
সল্টের দিনে থেমে থাকেননি অধিনায়ক জশ বাটলারও। ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২৩টি ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন ৩৩ বর্ষী বাটলার। এ পথে তিনি ছাড়িয়েছেন দলটির সাবেক অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে। ১২০টি ছক্কা মেরে এতদিন রেকর্ড নিজের করে রেখেছিলেন মরগান।
লিভিংস্টোনও ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন। ২১ বলে ৪টি চার ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ক্যামিও খেলেন উইল জ্যাকস।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় রানের গতি সচল রাখতে পারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। স্বাগতিকরা ২৭ বল হাতে থাকতেই তাই অলআউট হয়। অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট থেকে ২৫ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে। এছাড়া নিকোলাস পুরান ৩৯ ও শেরফেন রাদারফোর্ড ৩৬ রান করেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে ৩৭ রান খরচায় ৩ উইকেট পান রিচি টপলে।
ওয়ানডে সিরিজ হারের পর প্রথম দুই টি-টুয়েন্টি হেরে এ সিরিজও হারার পথে ছিল ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের চ্যাম্পিয়নরা। তবে সেখান থেকে দারুণভাবে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ সমতা আনল দলটি।