রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের কাছে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে একটি ওয়াটার বাস ডুবে যায়। এ ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আটজনকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।
রোববার ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজদের সন্ধানে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরিরা।
ওয়াটার বাসটি রাজধানীর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটে যাচ্ছিল। মাঝনদীতে এলে এটি এমভি আরাবি নামের বালু বোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গেছে। তাদের একজন আলিফ (১৪) ও অন্যজন ফাহিম (২৫)। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত তিনজনের লাশ এবং আটজনকে জীবিত উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।
এর আগে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন কোস্টগার্ডের ডুবুরি দলও। উদ্ধার কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় স্বজন হারানোর শঙ্কায় রাতে বুড়িগঙ্গার তীরে ছুটে আসেন অনেকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিকে হাওয়া দিয়ে ভাসিয়ে তীরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্ধারকারী জাহাজ অগ্রদূত। উদ্ধার কাজে যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জ বেইজ থেকে আসছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।