রাশিয়ায় তৈরি হয়েছে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। দক্ষিণ রাশিয়ার যে অঞ্চল থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের রণনীতি তৈরি করা হত, সেই অঞ্চলই হাতছাড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। রাশিয়ার ভাড়াটে হিসেবে পরিচিত ওয়াগনার গোষ্ঠীই রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে। তারা রাশিয়ার সরকার পতনের হুমকি দিয়েছে। ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন এ ঘোষণা দিয়েছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির দাপ্তরিক বাসভবন ক্রেমলিন তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগ আনার কয়েক ঘণ্টা পরই এই ঘোষণা দিলেন তিনি।
প্রিগোঝিন বলেছেন, তার বাহিনী ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করে রোস্তভ-অন-ডন শহরে ঢুকে পড়ছে। তাদের বাধা দিলে সব ধ্বংস করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রিগোঝিন। টেলিগ্রাম বার্তায় তিনি এসব হুমকি দেন। ওয়াগনার বাহিনীর ক্যাম্পে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বহু যোদ্ধার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এই পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ অবস্থায় মস্কোর আশেপাশে এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের কাছে রোস্তভ শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিদ্রোহ উসকে দেওয়ায় প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি।
রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইয়েভজেনি সরাসরি সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা করেছেন। তিনি রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন। ইউক্রেনের ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা আমাদের সৈনিকদের পিঠে ছুরিকাঘাত করেছেন ইয়েভজেনি।’ এদিকে ওয়াগনার গোষ্ঠীর সৈনিকদের উদ্দেশে এফএসবি বার্তা দিয়েছে, ইয়েভজেনিকে আটক করো।