রাজধানীর দারুস সালামে দলীয় কোন্দলের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম ও তার অনুসারীদের দায়ী করে, হত্যার বিচার দাবি করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
শনিবার ১৪ অক্টোবর মধ্যরাতের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহ আলমের মৃত্যু হয়। এর আগে রাত ১০টার পর স্থানীয় ভূমি অফিসের সামনে শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ১০টার পর স্থানীয় ভূমি অফিসের সামনে দারুস সালামের ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহ আলমকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। আহত অবস্থায় প্রথমে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাহ আলমকে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। উৎকন্ঠায় থাকা পরিবার মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্র কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ছেলের কথা বলতে গিয়ে বার বার কন্ঠরোধ হয়ে আসছিল নিহত শাহ আলমের মায়ের। তিনি ছেলে হত্যার বিচার চান। এছাড়াও শাহ আলমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীও হত্যার বিচার দাবি করে কথা বলেন। এ সময় হামলার সাথে দারুস সালাম স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসলামের অনুসারীরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার প্রস্ততি নিচ্ছিলেন শাহ আলম। তাকে সরিয়ে দিতে তার উপর হামলা হয়েছে।