জমি বিবাদ মামলায় নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের পক্ষেই রায় দিলেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক। বিশ্বভারতী নোবেলজয়ীকে নোটিশ পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছিল জমি ফিরিয়ে দিতে। বুধবার ৩১ জানুয়ারি আদালত রায় দিল, বিশ্বভারতীর সেই ‘এভিকশন অর্ডার’ বা উচ্ছেদের নির্দেশ সম্বলিত নোটিশ খারিজ করার। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।
নোবেলজয়ী বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন, এই অভিযোগ তুলে এক সময় সরব হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই সময় অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও জমি ছাড়তেই হবে অমর্ত্যকে, এই দাবিতেই অনড় থাকেন বিদ্যুৎ। ঘটনাটি মামলায় গড়ায়। বুধবার সেই মামলাতেই রায় দিল সিউ়ড়ি জেলা আদালত।
অমর্ত্যকে ‘এভিকশন অর্ডার’ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। তাতে বলা হয়েছিল, দ্রুত যেন তিনি ১৩ ডেসিমেল জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে দেন। সেই নোটিশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে সিউড়ি জেলা জজের এজলাসে যান অমর্ত্যের আইনজীবী। সেই মামলায় বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’কে বাতিল করে দিয়েছে আদালত। এর ফলে কার্যত জমি মামলায় অমর্ত্যের জয় হল বলেই মনে করছেন তার আইনজীবীরা।
নোবেলজয়ীর আইনজীবী বিমান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। বিশ্বভারতী যে নোটিশ দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক।’
অপর আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায়চৌধুরী বলেন, ‘আদালত আপাতত বিশ্বভারতীর দাবি খারিজ করে দিল। বিশ্বভারতীর দাবি আর রইল না।
জজ সাহেব রায়ে বলেছেন, বিশ্বভারতীর ‘এভিকশন অর্ডার’ সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ। এটা বিদ্যুৎ চক্রবর্তী করতে পারেন না।’