যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থনের উদ্দেশে করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এমন নির্বাচন প্রতিটি গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রের উন্নতি করতেও এটি অপরিহার্য।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
ইন্দো প্যাসিফিক বিষয়ে মার্কিন পরিকল্পনা বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মার্কিন শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে আরও সমৃদ্ধ-নিরাপদ-সংযুক্ত এবং অধিক অংশগ্রহণমূলক ও স্থিতিশীল করতে কোয়াডের মতো বিভিন্ন নতুন গ্রুপের মধ্য দিয়ে আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে অভিন্ন পদ্ধতি ও প্রতিশ্রুতি করি আমরা। কূটনৈতিক বিষয়বস্তু নিয়ে খুব বেশি বিস্তারিত বলবো না, তবে অবশ্যই এটি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা আমরা উভয় সরকারের জন্য শেয়ার করে থাকি।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উজরা জেয়া বলেন, দিল্লির পরপরই ঢাকায় যেতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অনেকগুলো ইস্যুতে আলোচনা করবো। এরমধ্যে মানবিক সহযোগিতা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে যা আমরা আশা করি। তাছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মধ্যে সম্পর্ক, বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে শ্রম অধিকার এবং বিভিন্ন দলের স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হবে।
উজরা জেয়া চার দিনের সফরে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উজরা জেয়ার সফরসঙ্গীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুও রয়েছেন। তার এই সফরে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, মানব পাচার ও রোহিঙ্গা-সংকট নিয়ে আলোচনা হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।
চার দিনের সফরের তৃতীয় দিনে উজরা জেয়া বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শনেও যাবেন। মার্কিন এই শীর্ষ কর্মকর্তা শুক্রবার দেশে ফিরে যাবেন।