
টেনিসে নতুন এক তারকার আবির্ভাব হতে চলেছে, তা মাস চারেক আগে মাদ্রিদ ওপেনেই টের পাওয়া গিয়েছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে রাফায়েল নাদাল, সেমিফাইনালে নোভাক জোকোভিচ এবং ফাইনালে আলেক্সান্ডার জভেরেভকে হারিয়ে আসরের শিরোপাটাই জিতে নিয়েছিলেন কার্লোস আলকারাজ। এবার তিনি জিতে নিলেন ইউএস ওপেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো মেজর ট্রফি জেতার স্বাদ পাওয়া আলকারাজ সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠে এসেছেন।
মাত্র ১৯ বছর ১৩০ দিন বয়সে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানে উঠে ইতিহাস গড়েছেন আলকারাজ। দুইবারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সাবেক অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় লেটন হিউইট ২০ বছর ২৬৮ দিন বয়সে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিলেন। তার গড়া সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন স্প্যানিশ সেনসেশন।
রোববার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা লড়াইয়ের প্রথম সেটটি নরওয়ের ক্যাসপার রুডের বিপক্ষে ৬-৪ ব্যবধানে আলকারাজ জেতেন। দ্বিতীয় সেটে রুড দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান। ৬-২ ব্যবধানে সেট জিতে নেন। তৃতীয় সেটে হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। টাইব্রেকারে ৭-৬ (৬-১) ব্যবধানে আলকারাজ সেট জিতে যান। রুড শেষ সেটে আর পেরে ওঠেননি। ৬-৩ ব্যবধানে জিতে ইউএস ওপেন জয়ের আনন্দে মাতেন আলকারাজ।
পিট সাম্প্রাসের পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইউএস ওপেনের ট্রফি জিতলেন আলকারাজ। ১৯ বছর ২৯ দিন বয়সে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন ১৪ বারের গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সাবেক মার্কিন তারকা সাম্প্রাস।

ম্যাচ শেষে আবেগাপ্লুত আলকারাজ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমি সত্যিই এমন অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। এই মুহূর্তে কথা বলা কঠিন। আমি অতিমাত্রায় আবেগাপ্লুত।’
চলতি বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে উঠে শিরোপা হাতছাড়া করেছিলেন ২৩ বর্ষী রুড। এবার ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফির অনেক কাছে এসেও তা না পাওয়ার হাহাকার নিয়েই নরওয়েজিয়ানকে কোর্ট ছাড়তে হয়। তবে প্রতিপক্ষের প্রশংসা করতে মোটেও কার্পণ্য করেননি।
‘তিনি (আলকারাজ) কয়েকজন বিরল প্রতিভার খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন। প্রতিবারই খেলাধুলায় এমন প্রতিভা উঠে আসে। দেখা যাক কীভাবে তার ক্যারিয়ার গড়ে ওঠে। আমার মনে হয়, সবকিছু ঠিক পথেই চলছে।’