দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধানকে ডেকেছে ভারত সরকার।
বুধবার ২৭ মার্চ ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিকেলে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসময় মন্ত্রণালয়ের দিল্লি কার্যালয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয, বৈঠকের পর এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ভারত সরকার বলেছে ‘অস্বাস্থ্যকর নজির’ এবং ‘অনাকাঙ্ক্ষিত আপত্তির’ বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রগুলো অন্যের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে বলে আশা করি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব আরও বেশি। অন্যথায় এটি অস্বাস্থ্যকর নজির স্থাপন করতে পারে।
ভারতের আইনি প্রক্রিয়াগুলো একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়, যা উদ্দেশ্যমূলক এবং সময়োপযোগী ফলাফলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ওপর আপত্তি জানানো অযৌক্তিক।
এর আগে, গত মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, তারা কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন এবং কারাবন্দি আম আদমি পার্টির নেতার জন্য ‘একটি ন্যায্য এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়া’ নিশ্চিত করতে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
তার আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেপ্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত সরকার সেটিরও তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।