চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হলিউড নয়, হন্যে হয়ে দেশি সিনেমার টিকেট খুঁজছে দর্শক

সিনেপ্লেক্স ঘুরে এসে...

উৎসব নেই, তবুও বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে যেনো লেগে আছে ঈদের আমেজ! অন্তত টিকেট কাউন্টারের সামনে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখলে এমনটাই মনে করবেন যে কেউ!

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখেছেন এই প্রতিবেদক। কথা বলেছেন, সিনেমার টিকেটের জন্য দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষমান বেশ কয়েকজন দর্শকের সাথে।

শুধু পুরুষ নয়, পাশাপাশি নারী দর্শকরাও ভিড় করছেন। খিলগাঁও থেকে আসা এক নারী দর্শক চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, শপিং শেষ করে চেয়েছিলেন ‘পরাণ’ দেখবেন, সঙ্গে নিয়ে যাবেন মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘হাওয়া’র টিকেট। কিন্তু দীর্ঘ সারি ভেঙে টিকেট কাউন্টারে গিয়ে দেখেন, ‘পরাণ’ এর টিকেট তো নেই ই, এমনকি ‘হাওয়া’র শুক্র ও শনিবারের কোনো টিকেট পাননি! হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।

প্রায় আধ ঘণ্টা টিকেট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে এমন ঘটনারই পুনরাবৃত্তি দেখতে হয়েছে বেশ কয়েকটি। টিকেট কাউন্টারে সিনেপ্লেক্স কর্মীদেরও হিমশিম খেতে দেয়া যায়। তাদের একজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার থেকে মুক্তি পেতে যাওয়া ‘হাওয়া’র টিকেটের জন্যই বেশি মানুষ আসছেন। তাদের সবাইকে বলে দেয়া হচ্ছে, এখানে শুক্র ও শনিবারের অগ্রিম টিকেট আর নেই। অনেকেই পরের দিনেরও টিকেট কেটে নিচ্ছেন। এরপর আছে ‘পরাণ’ এর দর্শক, তারাও অগ্রিম টিকেট কিনতে সশরীরে এখানে এসেছেন।

টিকেট কাউন্টার থেকে অন্য আরেকজন চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, শুক্রবার ও শনিবার হাওয়া ও পরাণ কোনো সিনেমার কোনো টিকেট নেই! তারা বলেন, অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি! ৩১ তারিখ মর্নিং শো (১০টা ৩০ মিনিট)-এ পরাণ কয়েকটি টিকেট খালি আছে। হয়তো তাও সোল্ড আউট হয়ে যাবে।

‘হাওয়া’র টিকেট নিতে আসা এক জুটি এসময় জানান, বহুদিন পর বাংলা সিনেমা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ কারণে সিনেমা দেখতে আগ্রহী হয়েছেন। কেউই অনলাইনে হাওয়ার অগ্রিম টিকেট পাচ্ছেন না। এমনকি মুক্তির প্রথম দুদিনে কাউন্টারে এসেও পেলেন না। তাই তারা কিছুটা হতাশ! তবে এও জানালেন, সিনেপ্লেক্সের অন্য শাখাগুলোতেও খোঁজ নিবেন, যদি মেলে ‘হাওয়া’র শুক্র কিংবা শনিবারের টিকেট!

বাংলা সিনেমার জন্য দর্শকদের অগ্রিম টিকেট কাটার আগ্রহে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, এতদিন হলিউডের ছবিগুলো নিয়ে আগ্রহী বেশি ছিল দর্শক। গত ঈদ থেকে সিনেপ্লেক্সের সবখানে ‘পরাণ’ এর জয়জয়কার। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাড়া পাওয়া গেছে। তারমধ্যেই ‘হাওয়া’ নিয়ে মানুষের এই মাতামাতি সার্বিকভাবে বাংলা সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সিনেপ্লেক্স এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন বলেন, সবখানে ‘হাওয়া’র প্রথম দুদিনের টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। পরাণেরও একই অবস্থা। দর্শকদের চাপ সামলাতে দৈনিক হাওয়া ও পরাণের যথাক্রমে ২৬ ও ১৭ টি শো থাকছে। হয়তো আরো শো বাড়তে পারে।