নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের ওপর হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ভরতখালী বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা চেয়ারম্যানের মা জহুরা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমার চাচাতো ভাই আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি ও আমার ছেলে জাহাঙ্গীর কবির সোমবার সকালে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের গোটিয়াতে যাই। সেখানে জানাজা শেষে আজ বিকেলে সিএনজিযোগে সাঘাটার নিজের বাড়িতে ফেরার সময় ভরতখালী বাজার মোড়ে অবস্থিত সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সুইট চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে গেলে একদল দুর্বৃত্ত আমাদের পথরোধ করে। এসময় পথরোধের কারণ জানতে চাইলে তারা কিছু না বলেই আমার ছেলেকে সিএনজি থেকে নামিয়ে লোহার রড, হকি স্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারতে থাকে। এসময় আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তার উপরে কেন হামলা হয়েছে, এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তার মা বলেন, আমার ছেলে গত রোববার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আমার ভাতিজি ফারজানা রাব্বী বুবলীর হয়ে কাজ করার কারণে এই হামলা হয়েছে। আমি এই হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে আহত উপজেলা চেয়ারম্যানের বোন ফারিয়া রাব্বি বলেন, আমার ভাই সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনের নৌকার প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপনের বিপক্ষে গিয়ে আমার চাচাতো বোন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলীর পক্ষে কাজ করায় এই হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের দায়িত্বরত জরুরি বিভাগের ডাক্তার বলেন, তার অবস্থা গুরুতর। শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্যাকচার আছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রেফার করেছি।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করতে পারেননি।