চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করছে

মানবপাচার রোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সম্প্রসারণে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করছে। 

বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা সংশোধন ও সম্প্রসারণের জন্য আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে যোগদান করেন।

Bkash July

সেখানে বলা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র দাসত্ব ও মানব পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত প্রকল্প “ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস”-এর অধীনে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে যেখানে সরকারি ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সংশোধিত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আঞ্চলিক পর্যায়ের কর্মশালাগুলো থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালার উপর তাদের মতামত দেবেন।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মানব পাচার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সাতটি বিশেষ ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, পাচার-বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং এই সময়ে বিচার ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করা হবে যাতে অপরাধীদের শায়েস্তা করা জোরদার হয় এবং পাচারের শিকার থেকে রক্ষা পাওয়া ভুক্তভোগীদের (সারভাইভর) সুরক্ষা ও তাদেরকে সমাজে পুনঃএকত্রীকরণে সহায়তা করা যায়।

Reneta June

“কোন পরিকল্পনাই সফল হতে পারে না যদি না সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করা না হয়। আর সেই কারণেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জোরদার করা ও মানবপাচারের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধের অবসানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করা অব্যাহত রাখবে,” শার্জে ডি অ্যাফেয়ার্স লাফাভ বলেন।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার মানব পাচার রোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করা ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি তাদের দাসত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করা ও মানব পাচার প্রতিরোধের লক্ষ্যে পরিচালিত “ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং ইন পারসনস” প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ৪০০ এরও বেশি বিচারক, পাবলিক প্রসিকিউটর, ট্রাইবুনাল কর্মকর্তা ও প্যানেল আইনজীবী এবং স্থানীয় পর্যায়ের পাচার-প্রতিরোধকারী কমিটির ৩,০০০ সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View