চার বছর আগে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই একই প্রতিপক্ষকে এবার গ্রুপপর্বেই পেয়েছে লাল-সবুজের দল। বর্তমান শিরোপাধারীদের বিপক্ষে ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় খানিক পর টাইগার যুবারা ব্যাটিংয়ে নামবে। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধা বল হাতে জ্বলে উঠে শিকার করেন ৫ উইকেট।
ব্লুমফন্টেইনে শনিবার যুব বিশ্বকাপের এ গ্রুপের খেলায় টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত ৭ উইকেটে তোলে ২৫১ রান। ফিফটি হাঁকান আদর্শ সিং ও অধিনায়ক উদয় সাহারান।
দলীয় ১৭ রানেই টিম ইন্ডিয়া প্রথম উইকেট হারায়। আরশিন কুলকার্নি ব্যক্তিগত ৭ রানে পেসার মারুফ মৃধার বলে উইকেটরক্ষক আশিকুর রহমান শিবলীর গ্লাভসে ধরা পড়েন।
আরেক টাইগার পেসার ইকবাল হোসেন ইমনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটার আদর্শ সিং। ভারতের রান তখন এক উইকেটে ৩০, আদর্শের রান ১৪। প্রথম স্লিপে থাকা ফিল্ডার ক্যাচ নিয়েছিলেন নাকি বল আগেই ড্রপ খেয়েছিল, টিভি রিপ্লে দেখে তা পরিষ্কার বোঝা মুশকিল ছিল। ক্যামেরার অবস্থানে ক্যাচ নেয়া কিংবা না নেয়ার বিষয়টি ছিল অস্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার ডোনোভান কোচ দাগের বাইরে পা দেয়ার কারণ দেখিয়ে নো বলের সংকেত দেন। অথচ টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায় পায়ের পুরো অংশ দাগের বাইরে ছিল না।
খানিক পরই মুশির খান ৩ রান করে মারুফের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩১ রান। তৃতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়ার পথে ফিফটি পান ওপেনার আদর্শ ও অধিনায়ক উদয় সাহারান। ৯৬ বলে ৬ চারে ৭৬ রান করা আদর্শের বিদায়ে জুটি ভাঙে। চৌধুরী রিজওয়ানের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে রোহানাত দৌল্লা বর্ষণের তালুবন্দি হন।
আদর্শের সাজঘরে ফেরার পর রানের গতি কমতে থাকে। টানা ৬৫ বল বাউন্ডারিবিহীন ছিল ভারত। ৪২তম ওভারের তৃতীয় বলে সেই খরা কাটে। এর আগে ৩৯তম ওভারে আউট হন ৯৪ বলে ৪টি চারে ৬৪ রানের ইনিংস খেলা উদয়। শর্ট থার্ড ম্যানে তার ক্যাচ নেন বর্ষণ, বোলার ছিলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে রাব্বির বলে ক্যাচ দিয়েও জীবন পান প্রিয়াংশু মোলিয়া।
উইকেটরক্ষক ব্যাটার আরাভেলি অবনীশ ১২ রান করার পর তাকে সহজ রান আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন বোলার ইকবাল হোসেন ইমন। সুযোগ পেয়েও অবনীশ ১৭ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৩ রানেই থামেন। মারুফের বলে ডিপ এক্সট্রা কভারে মোহাম্মদ শিহাব জেমসের হাতে ধরা পড়েন।
মারুফের চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ২৩ রান করা মোলিয়া। অনেকটা দৌড়ে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দারুণ ক্যাচ নেন আহরার আমিন।
মুরুগান অভিষেকের উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে ৫ উইকেট দখল করেন মারুফ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বল তালুবন্দি করেন চৌধুরী রিজওয়ান।
শেষ দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন শচীন ধাস। ২০ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
দুরন্ত বোলিংয়ে টাইগার যুবাদের হয়ে ৮ ওভারে এক মেডেনসহ ৪৩ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট পান ১৭ বর্ষী মারুফ। একটি করে উইকেট পান রিজওয়ান ও রাব্বি।