সামনের শীতকালে রাশিয়া আবারও বড় ধরনের আক্রমণ চালাবে এমন সম্ভাবনা দেখছেনা ইউক্রেন। বরং তারা বলছে, এখন ইউক্রেনের আক্রমণে যাওয়ার পালা। আগামী মাসে বা তার পরেই পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার আশা করছে ইউক্রেন।
পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সেনারা। সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়েছে হাজার হাজার নতুন সেনা। ফাইটিং ইউনিটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা। সেনা ইউনিট গুলোকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অভিজাত সৈন্যদের। আর এজন্য যুদ্ধের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আসা অভিজ্ঞ সৈন্যদেরকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিয়ে আসা হয়েছে যাতে তাদেরকে পরবর্তী আসন্ন পাল্টা আক্রমণে পাঠানো যায়।
নতুন ইউক্রেনীয় প্রচারণা হল, যখন এই ইউনিট গুলো যুদ্ধের ময়দানে আসবে, এটি হবে তার সেনাবাহিনীর জন্য অনুপ্রেরণা এবং দক্ষতা বজায় রেখে ব্যাটালিয়ন পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন করার ক্ষমতার একটি পরীক্ষা।
চ্যালেঞ্জগুলো ভয়ঙ্কর। ইউক্রেনীয় অফিসারদের আর্টিলারি, পদাতিক এবং সাঁজোয়া যানের আক্রমণের ছক আঁকতে হবে যা রাশিয়ান পরিখা, ট্যাঙ্ক ফাঁদ এবং মাইনফিল্ডের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।
যদি প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রশিক্ষিত সৈন্য সময়মতো সঠিক জায়গায় নামানো যায় তবে ইউক্রেন রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য অনেক বড় ক্ষতি করতে সক্ষম হবে যা সুদূরপ্রসারী ভূ-রাজনৈতিক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এভাবেই ইউক্রেন যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতির ব্যখ্যা করছিলেন ম্যাককেইন ইনস্টিটিউটের একজন বিশেষজ্ঞ ইভলিন ফারকাস।
ইউক্রেনের লক্ষ্য: ইউক্রেন ক্রিমিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরের দক্ষিণ উপকূল বরাবর রাশিয়া-অধিকৃত অঞ্চলের মধ্য দিয়ে একটি সীমারেখা টানার পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে চাচ্ছে বলে লক্ষ্য করা যায়। অথবা পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে লড়াইয়ে একটি অপমানজনক টার্নঅ্যাবউট খুঁজতে হবে তাকে – বা উভয়ই।
ইউক্রেনের জন্য চ্যালেঞ্জ: ইউক্রেনের মিত্ররা সেখানে অস্ত্র পাঠাতে দেরি করেছে, সৈন্যদেরকে একাটা বিধ্বস্ত পরিস্থিতির সাথে কাজ করতে হয়েছে এবং সাফল্যের নিশ্চয়তা খুবই কম।