যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এখন শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা।
বিবিসি জানিয়েছে, ওয়েস্টমিনস্টারের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, তার দেশ এখন সেই মুহূর্তটিকে সামনে আনতে প্রস্তুত যখন তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিবে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনিদের একটি নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রয়োজন।
ক্যামেরন বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কেমন হবে তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব যুক্তরাজ্যের। এই ব্যাপারে ফিলিস্তিনি জনগণকেও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে আগ্রহ দেখাতে হবে। তিনি বলেন, এটি হলে আমরা জাতিসংঘসহ আমাদের মিত্রদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি দেখভাল করবো। এটি এমন একটি বিষয় যা এই প্রক্রিয়াটিকে অপরিবর্তনীয় করতে সহায়তা করবে। যুক্তরাজ্য দীর্ঘদিন ধরেই একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করে আসছে, যেখানে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা আলাদা দেশে পাশাপাশি থাকতে পারে।
ক্যামেরন এ সময় ইসরায়েলকে গাজায় আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, এটি হাস্যকর যে গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ এবং অন্যান্য সাহায্য সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ৭ অক্টোবরের হামলা প্রসঙ্গে ক্যামেরন বলেন, গত ৩০ বছর ইসরায়েলের জন্য একটি ব্যর্থতার গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ তারা তার নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ব্যর্থতা স্বীকার করলেই শান্তি ও অগ্রগতি হবে।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলকে সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং একই সাথে হামাসকে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা ইসরায়েলের ওপর আর হামলা চালাবে না এবং তাদের নেতৃত্ব গাজা ছেড়ে চলে যাবে। তিনি বলেন, চুক্তিটি কঠিন হবে তবে অসম্ভব নয়। যুদ্ধবিরতি এখন প্রয়োজন এবং আলোচনার বিষয়ে ভালো লক্ষণ রয়েছে। এখনও এমন একটি পথ রয়েছে যা আমরা উন্মুক্ত দেখতে পাচ্ছি যেখানে আমরা সত্যিই অগ্রগতি করতে পারি। শুধু সংঘাতের অবসান ঘটাতে নয় বরং একটি রাজনৈতিক সমাধানের।
তিনি বলেন, আসল চ্যালেঞ্জ হবে যুদ্ধে ফিরে না গিয়ে সেই বিরতিটিকে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতিতে পরিণত করা। এটি অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন। যদিও অতীতে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তবে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না।