‘আমরা যখন সেরাটা খেলছিলাম, তখন গোল করতে পারিনি। তারপর আমরা একটি হাস্যকর গোল হজম করে নিলাম। এটি বড় হতাশার ব্যাপার। তবে আমাদের তা মেনে নিতে হবে। আমি একা নই, সবাই হতাশ। প্রথম লেগে আমাদের প্রচুর সমস্যা হলেও দ্বিতীয় লেগে জয়ের আশা করেছিলাম।’
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে শেষ আটের আগেই বিদায় নেয়ার পর হতাশার কথা এভাবেই বলেছেন পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬১ মিনিটে রক্ষণের ভুলে গোল হজম করতে হয় ফরাসি জায়ান্টদের। এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোটিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় বুন্দেসলিগা জায়ান্টরা। এ ভুলটি কিছুতেই মানতে পারছেন না গালতিয়ের।
নেইমারের না থাকাটা বেশ ভুগিয়েছে ফরাসি জায়ান্টদের। চোটের কারণে চলতি মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান তারকার আর মাঠে নামা হবে না। গালতিয়েরের কথায় সেই হতাশাও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে, ‘আমরা দুই পায়েই কিছু গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে মিস করেছি। দুদলের পার্থক্য এখানেই ছিল।’
এদিকে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটার পর বায়ার্ন কোচ লিয়াম নাগেলসম্যান বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা খুব ভালো করিনি। ভালো করার অনেকবেশি সুযোগ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ভালো খেলতে পেরেছি এবং বল পায়ে বিপজ্জনক ছিলাম। শেষ পর্যন্ত জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।’
ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় পিএসজির জয়ের বিকল্প ছিল না। দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে হেরে ফরাসি জায়ান্টদের শেষ ষোলো থেকেই বাদ পড়তে হল।