সান্তিয়াগো বার্নাব্যু, রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে স্বাগতিক হওয়ায় ফেভারিটই ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটিও ছেড়ে কথা বলার মতো ছিল না। প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা দলটি ভুগিয়েছে সদ্য ‘কোপা ডেল রে’ জেতা লস ব্লাঙ্কোসদের। দুই জায়ান্টের লড়াইয়ের ফলাফল তাতে অমীমাংসিত থাকল। ১-১ সমতার ড্র হওয়ায় ফাইনাল নিশ্চিতে চোখ এখন ইতিহাদের মহারণে পরের লেগে।
বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। পিছিয়ে পড়া ম্যানসিটিকে সমতায় ফেরান কেভিন ডি ব্রুইন। গোল সমতায় ম্যাচ শেষ হওয়ায় ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত। ম্যানসিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে ফিরতি লেগের ম্যাচটি। দ্বিতীয় লেগের লড়াইয়ে যে জিতবে, সে দল যাবে ফাইনালে।
রিয়ালের মাঠে বল দখল ও আক্রমণে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি। যদিও প্রথম গোলটি পেয়েছিল স্বাগতিকরাই। ৩৬ মিনিটে কামাভিঙ্গার পাস থেকে গোল করে লস ব্লাঙ্কোসদের এগিয়ে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রথমার্ধে ম্যানসিটি গোলের চেষ্টা করলেও রিয়াল রক্ষণ পরাস্তে ব্যর্থ হয় বারবার। ১-০তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে লড়াই জমে। দু-দলই সমানে-সমান খেলে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে মাতে। সিটি সমতায় ফেরার সুযোগ পায় বেশ কয়েকবার। কিন্তু রিয়াল গোলবারে দেয়ালের ভূমিকায় ছিলেন থিবো কোর্ত্তয়া। দুর্দান্ত সব সেভ দিয়ে রক্ষা করেন রিয়াল মাদ্রিদকে। ৬৭ মিনিটে হার মানতে হয় বেলজিয়ান গোলরক্ষককে। ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া ডি ব্রুইনের জোরাল শট রুখতে পারেননি। নাগালের বাইরে দিয়ে বল ঢোকে জালে। সিটি ফেরে সমতায়।
এরপর দুদলই লিড নেয়ার চেষ্টা করেছে। অবশ্য সুযোগ বেশি পেয়েছে রিয়াল। ৭৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে টনি ক্রুসের বাড়ানো বল হেডে জালে পাঠানোর চেষ্টা করেন বেনজেমা। সিটি গোলরক্ষক এডেরসন তা ঠেকিয়ে দেন। দুর্দান্ত সেভ দিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা করেন দলকে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে শুয়ামেনির জোরাল শটও ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। শেষঅবধি ম্যাচ থামে ১-১ গোলের সমতায়।