চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হট্টগোল

স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানানোকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে ধাক্কাধাক্কি ও কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে ২৬ মার্চ সকালে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপাচার্যের সামনেই এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় সাবেক সভাপতি ইলিয়াস তার অনুসারী বিভিন্ন হলের নেতাদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহি ও সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস তাদের অনুসারীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এসময় দুই পক্ষের মাঝে তর্ক বেধে যায়।

ইলিয়াসের অনুসারীরা রেজা-স্বজনের গ্রুপের দিকে তেড়ে গেলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, আমি চাই না ছাত্রলীগের কারণে স্বাধীনতা দিবসের এই প্রোগ্রাম নষ্ট হোক। তোমাদের মাঝে যে ঝামেলা করবে আমি তাকেই বহিষ্কার করবো।

এ ঘটনায় ইলিয়াসের অনুসারী কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশ অন্য গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠে। তবে বিষয়টা অস্বীকার করে পলাশ বলেন, এসব মিথ্যা-বানোয়াট। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি স্বীকার করে নিব।

এ বিষয়ে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাদাত মোঃ সায়েম বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সবসময় সুষ্ঠু থাকুক, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক।

বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বলেন, তারা (ইলিয়াসের অনুসারী) শ্রদ্ধা জানানোর পর আমরা শ্রদ্ধা জানাতে গেলে তারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। নোংরা রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। অথচ আমরা সম্পূর্ণ নমনীয়তা বজায় রেখেছি। কারা বিশৃঙ্খলা করেছে এর ভিডিও আছে সবার কাছে।

দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আহসান উল্ল্যাহ বলেন, দুই পক্ষ কমিটিতে আসতে চায়, স্বাভাবিকভাবেই কার ওপর কে প্রভাব বিস্তার করবে তা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে এ ধরণের একটা প্রোগ্রামে তাদের বিভাজনের মাধ্যমে এমন ঘটনা না হলে ভাল হতো।