তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে ভোট গণনা। তুরস্কের নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী কোন প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে। এবারের নির্বাচনে তিনজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, একে পার্টির রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, সিএইচপি নেতা কামাল কিলিকদারোগলু ও সিনান ওগান।
তুরস্কে আজ রোববার (১৪ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঝুলে আছে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভাগ্য।
তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, প্রাথমিক ফলাফলে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানই এগিয়ে আছেন। গণনা করা ৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোটের ওপর ভিত্তি করে দেখা যায়, ৫৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এরদোয়ান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগলু পেয়েছে ৩৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ভোট। তবে শেষ খবর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও সময়।
দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জন্য এবারের নির্বাচনটিকে ‘কঠিন পরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা এরদোয়ানকে হারাতে এবার দেশটির ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। তুরস্কের ইতিহাসে এর আগে কখনো এতগুলো দলকে এক হতে দেখা যায়নি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি হওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে রয়েছেন এরদোয়ান। ওই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কে প্রায় ৫১ হাজার মানুষ মারা গেছে।
আঙ্কারা ইনস্টিটিউটের জরিপে দেখা গেছে, ৯০ শতাংশ সরকার পক্ষের সমর্থক দাবি করছেন, ভূমিকম্পের পর সরকারের পদক্ষেপ যথাযথ ছিল। আবার সরকারবিরোধী ৯০ শতাংশ বলছেন, সরকার ব্যর্থ।
সব মিলিয়ে এই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।