ন্যাটোর যেসব দেশ তাদের আর্থিক দায়বদ্ধতা পালন করছে না, তাদের আক্রমণ করার জন্য রাশিয়াকে উৎসাহিত করবেন জানিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ন্যাটোভুক্ত ইউরোপের দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে, তিনি ন্যাটোর ক্ষতির কারণ হতে পারেন।
সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলের তথ্য অনুসারে, ন্যাটো নিয়ে ট্রাম্পের কড়া মন্তব্যের পর ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিয়ে ট্রাম্প যা বলেছেন, তার প্রভাব যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর শরিক দেশগুলোর ওপর সমানভাবে পড়বে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় সেনাদের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, ন্যাটো কখনই এমন কোন সামরিক জোট নয়, যা মার্কিন প্রেসিডেন্টের রসিকতার ওপর নির্ভর করে।
ব্রাসেলসের ইনস্টিটিউট ফর ইউরোপীয়ান স্টাডিজের এলিসন উডওয়ার্ড বলেছেন, গতবার ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন ইইউ ও অ্যামেরিকার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন দেখা গিয়েছিল। একটা নাটকীয় পরিবর্তন দেখা দিয়েছিল। তাই যদি ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় আসেন, তাহলে কী হবে, ইউরোপের দেশগুলোর এই চিন্তা হওয়াটা স্বাভাবিক।
কূনীতিকদের মতে, ন্যাটোর অনেক দেশই মনে করে, ট্রাম্প যদি আবার জিতে আসতে পারেন, তাহলে তিনি আগেরবারের থেকে অনেক বেশি শক্ত হাতে তার মতো করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন।
মার্কিন থিংক ট্যাংক জার্মান মার্শাল ফান্ড ইস্ট-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিশেল বারানওস্কি বলেছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য থেকে এই সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে যে, তিনি ক্ষমতায় এলে রাশিয়া ন্যাটোর শক্তি পরীক্ষা করবে। তার মন্তব্য ইউরোপের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে। তাই ইউরোপের কোন দেশের ওপর আক্রমণ হলে যুক্তরাষ্ট্র পাশে দাঁড়াবে কিনা, সেই চিন্তা স্বাভাবিকভাবেই দেখা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ন্যাটো থেকে সরে আসার হুমকি অনেকবার দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি একাধিকবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে, তার জন্য ইউরোপকে অর্থ দিতে হবে।