দীর্ঘ আলোচনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রুপিতে লেনদেন শুরু করল বাংলাদেশ ও ভারত। বগুড়ার কোম্পানি তামিম এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ ভারতীয় রুপির পণ্য কেনার জন্য ভারতীয় আমদানিকারকের এলসি খোলার মধ্য দিয়ে হয় প্রথম এই লেনদেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার ‘লা মেরিডিয়ান’ হোটেলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
এসময় আব্দুর রউফ তালুকদার জানান, সেপ্টেম্বরেই চালু হচ্ছে টাকা-পে ডেবিট কার্ড। রুপি এবং টাকায় লেনদেন সুবিধা থাকা এই কার্ডটি বাংলাদেশ এবং ভারতের ব্যবহারকারীদের জন্য। ভারতে কার্ডটি উদ্বোধন হবে ডিসেম্বরে।
ডলারকে পাশ কাটিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালুর দিনে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ৬০ লাখ রুপির কৃষিপণ্য পাঠানোর এলসি খোলা হয়েছে। বিপরীতে ভারত থেকে ১ কোটি ২০ লাখ রুপির পণ্য আমদানির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
চীনের মুদ্রা ইউয়ানের পর এবার ভারতের সাখে রুপিতে বাণিজ্য শুরু করল বাংলাদেশ। ভারতে এতদিন পন্য রপ্তানি করলে, দাম পাওয়া যেত ডলারে। এখন থেকে তা আসবে রুপিতে। সেই রুপি আবার বাংলাদেশ ব্যবহার করবে, ভারত থেকে পন্য কিনতে। এতে টাকা থেকে ডলার কেনা, আবার ডলার থেকে রুপিতে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করার জটিলতা কমবে, বাঁচবে সময়।
বাংলাদেশের সোনালী ও ইস্টার্ন, আর ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই এই লেনদেন পরিচালনা করবে। বাংলাদেশি ব্যাংকগুলো ভারতের দুই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন বাংলাদেশের আয় করা রুপি ওই অ্যাকাউন্টে জমা হবে। আবার সেখান থেকেই আমদানির খরচ মেটানো হবে।
এই কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং ব্যবসায়ীদের সহায়তা দিতে, ঢাকায় সোনালী আর ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পৃথক হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে।