টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ১২:০১ মিনিটে ডেন্টোনিয়া পার্কে স্থাপিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
কনস্যুলেটের বাংলাদেশ হাউজে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। বিকালে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সূচিতে ছিল জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বক্তব্য উপস্থাপন, অমর একুশে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন, সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিশেষ মোনাজাত।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা শহীদদের ও ভাষা আন্দোলনের অবদান আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন।
টরন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল জনাব মো: লুৎফর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, গৌরবময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস যুগে যুগে আমাদের জাতীয় জীবনে অনুপ্রেরনার উৎস হয়ে কাজ করছে। কয়েকজন প্রবাসী বাঙ্গালির উদ্যোগ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এটি আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অর্জন।
তিনি আরও বলেন, মহান একুশ ও ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ একদিন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে উঠবে।
সবশেষে জাতির পিতা ও সকল ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।