চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই তামাকমুক্ত করতে হবে

‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই তামাকমুক্ত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সুস্থ, সবল তরুণ জনগোষ্ঠির। এখানে তাই তামাকের কোনো স্থান থাকতে পারে না। প্রত্যেকটি মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। ভবিষ্যত প্রজন্ম রক্ষায় তাই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার কোন বিকল্প নেই।’

আজ মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব ও মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার মো. আব্দুল আজিজ, কুমিল্লা ৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা প্রাণ গোপাল দত্ত, সংসদ সদস্য শামসুন নাহার (মহিলা আসন ১৩) এবং মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাহিদুজ্জামান।

মতবিনিময় সভায় মূল নিবন্ধে অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হবে, কারণ এর মাধ্যমে মূলত যারা ধূমপান করছেন না তাদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং কিশোর-তরুণদের ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে।

এছাড়াও স্বার্থন্বেষি মহল এই সংশোধনীর ফলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে—এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, এই সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে তার সুফল পাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি।

অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত এমপি বলেন, আইনের পাশাপাশি ব্যাপক গণসচেতনতা ও মোটিভেশন দিয়ে তামাকের বহুল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। একই সাথে সমস্ত ধরনের নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

বিশিষ্ট শ্রমিক নেত্রী শামছুন্নাহার এমপি বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বড় অংশ ধূমপান করে থাকেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে শ্রমজীবী মানুষেরা তামাক ছাড়তে উদ্ধুব্ধ হবেন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে। সভার উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুুততর করার আহ্বান জানানো হয়। যেহেতু প্রতিদিন তামাকের কারণে এ দেশে প্রায় ৪৫০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন, তাই এক্ষেত্রে দ্রুততা একান্ত কাম্য বলে তারা দাবি জানান।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিটিএফকেএ-এর লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রফেসর গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের এপিডেমিওলজি ও গবেষণা বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার প্রফেসর ড. সোহেল রেজা চৌধুরী, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ এন্ড ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদসহ অন্যান্যরা।