গ্রিসের রোডস দ্বীপের দাবানল ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। রোডস দ্বীপের পাশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ পেলোপোনিজের ল্যাকোনিয়া এবং এথেন্সের পশ্চিমাঞ্চল। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেশজুড়ে কয়েক ডজন দাবানলের বিরুদ্ধে। বাড়িঘর ও হোটেল থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন আঁকড়ে ধরছে সবাইকে। এশিয়াতে বন্যা ও ভুমিধসে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। তীব্র দাবদাহ আর দাবানলে পুড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে গ্রিসের দাবানল। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে জুলাই মাসই হতে চলেছে গ্রিসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, গ্রিসে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে।
গ্রিসের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় রোডস দ্বীপের বাড়িঘর ও হোটেল থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দ্বীপের পূবে সৈকত থেকে পর্যটকদের উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য কোস্টগার্ডের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে প্রাইভেট বোটগুলো। গ্রিক নৌবাহিনীর জাহাজও সহায়তা করছে।
কিওটারি এলাকার তিনটি হোটেল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে কাজ করছে পাঁচটি হেলিকপ্টার এবং ১৭৩ জন দমকলকর্মী। স্রোভাকিয়া থেকেও দমকলকর্মীরা শনিবার রোডসে পৌঁছেছে স্থানীয় দমকল কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে। তবে প্রচণ্ড গরমে আরও কয়েকশ মানুষ সমুদ্র সৈকতে আটকে পড়েছেন।
গ্রিসের ডেপুটি ফায়ার চিফ বলেছেন, রোডসে যেভাবে দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ কঠিনকাজ। অনেকেই আগুনের আঁচ থেকে বাঁচতে সমুদ্রতীরে আশ্রয় নিচ্ছেন। পর্যটন সংস্থা টিইউআই বলেছে, দাবানলে অল্প সংখ্যক হোটেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সতর্কতা হিসাবে পর্যটকদের বিকল্প আবাসনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।