ভারতের সংসদের আসন্ন অধিবেশন সংবিধান সংশোধন করে ‘ইন্ডিয়া’ বাদ দিয়ে সব জায়গায় ‘ভারত’ ব্যবহার করার পরিকল্পনা চলছে। এর মাঝেই স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘ইন্ডিয়া’ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা রাষ্ট্রীয় শিক্ষা অনুসন্ধান এবং প্রশিক্ষণ পরিষদ (এনসিইআরটি) অনুমোদিত সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে ইন্ডিয়া বাতিল হয়ে ভারত করার জারি করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেওয়া বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র প্রকাশ্যে আসার পরেই এই নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। জি২০-র রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ কথাটি লেখা হয়।
বর্তমান ভারত সরকার এই নাম পরিবর্তনের পিছনে যুক্তি দেখিয়েছে, ব্রিটিশদের দেওয়া ওই নাম সনাতন সংস্কৃতি এবং ‘অখণ্ড ভারত’ চেতনার পরিপন্থী।
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ২০১৩ সালে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আসামের শিলচরে বলেছিলেন, ‘‘ধর্ষণের ঘটনা ইন্ডিয়ায় ঘটে, ভারতে নয়।’ এই আবহেই এনসিইআরটির ‘ভারত’-নির্দেশিকা নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিল।