রাহাত হোসাইন: অটো চুরির অভিযোগে মাদারীপুরের শিবচরে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ দিন পর রোববার ৯ এপ্রিল রাতে সোহেল মাদবর (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মাকছুদা বেগম বাদী হয়ে ২০ জন নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামী করে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ আসামীকে গেপ্তার করেছে। পূর্ব শত্রুতার কারণে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে নিহতের পরিবার দাবি করেছে।
শিবচর থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাদল মাদবরের ছেলে সোহেল মাদবর তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন। স্ত্রী একটি গার্মেন্টসে ও সোহেল রং মিস্ত্রীর কাজ করতেন। গত ২৫ মার্চ সোহেল তার খালাতো ভাই রানার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে নারায়নগঞ্জ থেকে শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের সাতভাগিয়া গ্রামের খালু জলিল গৌড়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে।
২৬ মার্চ মধ্যরাতে সোহেল শিবচর বাজার থেকে সাতভাগিয়া যাওয়ার পথে কুমেরপাড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রফিকুল ফকির, ফাক্কুল মৃধা, আবুল খাঁ, হাবি দরানী, ফারুক মাদবর, বজলু হাওলাদার, জসিম খা, শাহরুখ ফকির, ইমরান ফকির, মিঠু, রাজু, জব্বার, জলিল, সেকান, বারেক চোকদার, আতু দরানী, কাইয়ুম, হাবুল, আশরাফ ফকির, আবুল বাশারসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল সোহেলের গতিরোধ করে তাকে গাছের ডাল, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রাতভর আটকে রাখে।
পরদিন সকালে ভদ্রাসন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বেপারী তার এক সমর্থকসহ ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি জানতে পেরে হামলাকারীদের কাছ থেকে আহতাবস্থায় সোহেল মাদবরকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সোহেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।