চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. আবু তাহের। মঙ্গলবার ১৯ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অধ্যাপক আবু তাহেরকে সাময়িক সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে ডেপুটেশনে কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী, আগামী সকাল থেকে থেকে তাঁর এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসিতে ডেপুটেশনে যোগদান করেন ড. আবু তাহের। এর আগে তিনি অধ্যাপক চবি ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়া, লিয়েনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জীবন বীমা কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন ড. শিরীণ আখতার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময় চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য, ভর্তিবানিজ্যসহ ইত্যাদি নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
গতবছর ৭ সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেনের দুর্ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর করে। এরপর থেকেই ড. শিরীণ আখতারের দায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে।
পরে বাংলা ও আইন বিভাগের নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষক সমিতি।
৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর এ সকল নিয়োগ স্থগিত করার জন্য চিঠি পাঠালেও এরপরও ১৬ ফেব্রুয়ারী সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসন থেকে দাবি করা হয়, এই নিয়োগ পুরোপুরি নিয়মের অন্তর্গত।
নানা বিতর্কের মধ্যে দিয়ে দায়িত্বপালনের মেয়াদ শেষ হলো সাবেক উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।