এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের নির্বাচকে নস্যাৎ করার চেষ্টার অভিযোগে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিচারের মুখোমুখি হবেন কিনা, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিন ঘণ্টা ধরে পর্যালোচনা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার চলমান মামলার বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন কি না। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক প্রত্যেক বিচারক ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্পের মামলার ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের আগামী দিনের গণতন্ত্রকে নতুন রূপ দেবে।
মূলত ট্রাম্পের দাবি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তব্যরত থাকার সময় তিনি যে কোনে ফৌজদারি অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য। তার এমন দাবিকে ভিত্তি করে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এর এক দিন পরই আদালতে মামলাটি নিয়ে বিশেষ শুনানি হয়। এই শুনানিতেই বিচারকদের মাঝে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।
এই দায়মুক্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ার পর্যন্ত ট্রাম্পের বিচার স্থগিত থাকবে এবং জুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিভক্তির জেরে আরও জটিল সিদ্ধান্তও আসতে পারে যা পুনরায় বিচার শুরুর প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে পারে।
মামলার আসন্ন রায় নিয়ে ২টি প্রশ্ন উঠেছে। এক, ট্রাম্পকে দায়মুক্তি দেওয়া হলে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হত্যা করতে পারবেন কি? দুই, দায়মুক্তি না দিলে মেয়াদ শেষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রেসিডেন্টদের বিচারের মুখোমুখি বা জেলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে কি না?
তবে ট্রাম্পের আইনজীবী এই মামলার অংশ বিশেষের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া জন্য মামলাটি নিম্ন আদালতে পাঠাতে পারেন। তখন এই আইনি লড়াই নিশ্চিতভাবেই বিলম্বিত হবে এবং আপিলে যাবে। যার অর্থ, এই আইনি লড়াই কয়েক বছর না হলেও কয়েক মাস ধরে চলবে।