হাসান ইসমাইল, বান্দরবান: মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বারবার মর্টারশেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের দিন কাটছে আতংকে। আকাশ সীমায় মহড়াও দিচ্ছে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার। এর মধ্যে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের দিক থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টারশেল উড়ে আসার পর বাংলাদেশিদের আতংক বেড়েছে। টহল বাড়ানোসহ সর্তক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে বিজিবি।
মিয়ানমার সীমান্তের রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সে দেশের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র মধ্যে বেশকিছুদিন ধরে লড়াই বেড়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর জেট ফাইটার ও হেলিকপ্টারের তৎপরতা বেড়েছে।
সেখানকার বিষ্ফোরণ ও গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিদের ঘরবাড়ি। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামের বাসিন্দাদের চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরেও যাচ্ছেন না সে অঞ্চলের মানুষ।
পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে দিনে ২৫ থেকে ৪০টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। এতে নিজেদের অনিরাপদ মনে করছেন সীমান্তবর্তী মানুষ।
মিয়ানমারে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। বান্দরবানের ভেতরে মিয়ানমারের মর্টারশেল উড়ে আসার ঘটনায় কড়া প্রতিবাদও জানিয়েছে বাংলাদেশ।