দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আলোচনার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন ইমরান খান, তার সেই আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার পক্ষ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ সোমবার একটি টুইট বার্তায় পাকিস্তানের সরকারি দল পিএমএল প্রধান এবং দেশটির সরকার প্রধান শেহবাজ শরিফের ভাই নওয়াজ শরিফ জানিয়েছেন, ‘রাজনীতিবিদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু যারা জঙ্গি ও দাঙ্গাকারী, যারা সরকারি ভবন জ্বালিয়ে দেয়, শহিদদের মূর্তি ভেঙে ফেলে এবং সারাদেশে দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে দেয়, তাদের সঙ্গে কোন কথা বলা হবে না।’
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে গত ৯ মে পাক রেঞ্জার্স থেকে গ্রেপ্তার করার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করে পিটিআই নেতা-কর্মীরা। তার পর থেকেই প্রবল ধরপাকড় চলেছে দেশটিতে। এমন অবস্থায় গতকাল ইমরান খান বলেন, ‘আমি সরকার পক্ষের কাছে আলোচনার জন্য আর্জি জানাচ্ছি। না হলে ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।’ তার এই প্রস্তাব আজ পাকিস্তান সরকার পক্ষ থেকে নাকচ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের মুখপাত্র হাফিজ হামদুল্লা আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘৯ মে-র ঘটনার দায় ইমরান খানকেই নিতে হবে। সেনাঘাঁটির উপরে হামলা চালানো দেশকে আক্রমণ করারই নামান্তর। এই কাজের জন্য ইমরানের জেল হবেই।’
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহলের মতে, গ্রেপ্তারের আশঙ্কা করছেন ইমরান খান নিজেও। লাহোরে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ঘোষণা করেছেন, যদি তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, তা হলে দলের নেতৃত্ব দেবেন পিটিআই ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি।