আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং ভয়াবহ বন্যার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় দেরনার মেয়র আবদুলমেনাম আল-গাইথি সৌদি বলেছেন, বন্যায় ধ্বংস হওয়া জেলার সংখ্যার ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। এইদিকে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে ৬ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, দারনা শহরে নিহত ছয়জন বাংলাদেশির মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন রাজবাড়ী জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নিহত অন্য দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া দেরনা শহরে বসবাসরত আরও কিছু বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদ মাধ্যমে আলজাজিরা জানিয়েছে, বিধ্বস্ত লিবিয়ান শহর দেরনার বাসিন্দারা নিখোঁজ আত্মীয়দের মরিয়া হয়ে খুঁজে চলেছে। সেখানে ভয়াবহ বন্যার পর হাজার হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তারেক আল-খারজ বলেছেন, ভূমধ্যসাগরীয় শহরে এ পর্যন্ত ৩,৮৪০ জন মারা গেছে। যার মধ্যে ৩,১৯০ জনকে ইতিমধ্যে সমাহিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০০ জন বিদেশি ছিল যাদের বেশিরভাগই সুদান এবং মিশরের নাগরিক।
এইদিকে পূর্ব লিবিয়ার পরিচালনাকারী প্রশাসনের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হিচেম আবু চকিউয়াত বলেছেন, এখন পর্যন্ত ৫,৩০০ জনেরও বেশি মৃতের সংখ্যা হিসেব করা হয়েছে এবং এই সংখ্যা বাড়তে এবং দ্বিগুণ হতে পারে।
দেরনার মেয়র আল-গাইথি জানিয়েছেন, মিশর, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক এবং কাতার থেকে উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। তিনি বলেন, আমাদের আসলে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য বিশেষ দল দরকার। ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং পানিতে প্রচুর সংখ্যক মৃতদেহ পড়ে থাকার কারণে শহরটি মহামারিতে আক্রান্ত হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি।