যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক নথিগুলো ফাঁসের পিছনে থাকা ব্যক্তি একটি সামরিক ঘাঁটিতে কাজ করেছিলেন এবং একটি অনলাইন গ্রুপে সংবেদনশীল এই জাতীয় নিরাপত্তার তথ্যগুলো পোস্ট করেছিলেন।
পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁসকারী একজন নিঃসঙ্গ যুবক এবং বন্দুক নিয়ে তার ব্যাপক আগ্রহ আছে। তিনি ডিসকোর্ডে প্রায় দুই ডজন লোকের একটি গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। ভিডিও গেমারদের কাছে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ডিসকোর্ড।
ফাঁসকারীর বন্ধুর বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে। ফাঁসকারীর বন্ধুও ওই গ্রুপে যুক্ত ছিলেন।
ফাঁসকারীর বন্ধু ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছে, সে ফাঁসকারীর পরিচয় বা কর্তৃপক্ষের কাছে তার অবস্থান প্রকাশ করবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাঁসকারী গত বছর ডিসকোর্ড চ্যাটরুমে সামরিক বিষয় নিয়ে বার্তা পোস্ট করতে শুরু করে। পরবর্তী মাসগুলোতে ফাঁসকারী এমন বার্তা পোস্ট করেছিলেন যেখানে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ছিল। গ্রুপে ফাঁসকারী জানায়, তিনি একটি ‘সামরিক ঘাঁটিতে’ ছিলেন। সেসময় তিনি কাগজগুলো বাড়ি নিয়ে এসেছিলেন।
ডিসকোর্ডের একজন মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, সংস্থাটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করছে।
এই ঘটনার পরপরই ডিসকোর্ডে ওজির গ্রুপটি অনলাইন থেকে মুছে যায়। কিছু নথি পরবর্তীতে ডিসকোর্ডে অন্য গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছিল।
সিএনএন এর অনুসন্ধানে জানা যায়, কিছু ডিসকোর্ড ব্যবহারকারী নথিগুলোকে জাল ভেবেছিলেন। কারণ তারা ভাবেনি যে, কেউ গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্যগুলো অনলাইনে পোস্ট করতে পারে।
উল্লেখ্য, অনলাইনে সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে পেন্টাগনের বেশ কিছু গোয়েন্দা নথিপত্র। কীভাবে নথি ফাঁস হয়েছে তারই হিসেব চলছে এখন। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে শত্রু ও মিত্র দেশগুলোর ওপর গোয়েন্দাগিরি চালিয়ে আসছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কিত গোপনীয় এসব নথি কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল, তা তদন্ত করতে নেমেছে দেশটির বিচার বিভাগ।