গবেষণা না করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) তড়িঘড়ি করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে রিপোর্ট দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভাষা আর টিআইবির ভাষা মিলে যায়।
আজ (১৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গবেষণা না করে তড়িঘড়ি করে রিপোর্ট দিচ্ছে টিআইবি। কারও পক্ষ হয়ে তারা এই রিপোর্ট দিয়েছে। বিএনপির হয়ে, রিজভির বক্তব্য কিছুটা পরিশীলিত করে টিআইবি এই রিপোর্ট দিয়েছে। নির্বাচন বানচাল করতে যারা কাজ করছে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে এ রিপোর্ট। বিএনপির ভাষা আর টিআইবির ভাষা মিলে যায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, হাজারের বেশি প্রার্থী ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। প্রতি আসনে গড়ে ৬ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। মাঠে স্বতন্ত্র ৪০০ প্রার্থী ছিল। টিআইবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। এমন দাবি ভিত্তিহীন। মাঠের সাথে এই প্রতিবেদনের কোন যোগসূত্র নেই। ইভিএমে ভোট হলে প্রতিঘণ্টায় বা প্রতি দুই ঘণ্টায় সঠিক রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়। কিন্তু ম্যানুয়্যাল ভোটে ২ ঘণ্টা পর পর সঠিক আপডেট দেওয়া সম্ভব নয়। আসল চিত্র পাওয়া গেছে নির্বাচনের পর।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ১৭ জানুয়ারি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এতে টিআইবি উল্লেখ করে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপক্ষীয় ও পাতানো হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এবারের নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।