খান মোহাম্মদ জহুরুল হক: অমর কথাসাহিত্যিক, কালজয়ী ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনে ১৭৬ তম জন্মবার্ষিকী আজ। ‘বিষাদ সিন্ধু’র রচয়িতা এই লেখকের গল্প, উপন্যাস, নাটক কবিতাসহ ৩৭টি বই রয়েছে। অথচ রাজবাড়ীর মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রে বিষাদ সিন্ধু ছাড়া নিজের লেখা অন্য কোন বই নেই। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের অবকাঠামো।
জানা গেছে, ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের স্মৃতি সংরক্ষণে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০০৪ সালে তৈরি হয় মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্র। ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্মৃতিকেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব পায় বাংলা একাডেমী। ১৯ বছর পার হলেও হয়নি কোন সংস্কার কাজ। অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়েছে বাউন্ডারি ওয়াল, জ্বলে না লাইট, চলে না বেশিরভাগ ফ্যান, বেঞ্চগুলো বসার অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এমনকি স্মৃতিকেন্দ্রের ভিতরেই চলছে কবুতর পালন।
৩৭টি বই লিখেছেন মীর মশাররফ হোসেন অথচ বিষাদ সিন্ধু ছাড়া তার লেখা কোন বই নেই এখানে। নেই সহকারি পরিচালক ও গ্রন্থাগারিক।শুধুমাত্র নিরাপত্তা প্রহরী ও নিম্নমান সহকারি দিয়ে চলছে স্মৃতিকেন্দ্রটি।
মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতিকেন্দ্রের নিম্নমান সহকারি জাহিদুল ইসলাম বলেন, জনবল সঙ্কট রয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি দূর হবে। যে কয়জন আছে তা দিয়েই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হচ্ছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একাধিকবার বাংলা একাডেমীকে বলা হয়েছে। বাংলা একাডেমী অনুমতি দিলে উপজেলা প্রশাসন থেকে রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজ করা হবে।
মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া লাহিনীপাড়ায় মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মারা যান।