বিশ্বজুড়ে সম্প্রতি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে শুরু হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)’র প্রয়োগ, যা দিন দিন বাড়ছে। আর শুধু এ কারণেই আগামী ৫ বছরে বিশ্বজুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। তবে আশার কথা পাশাপাশি নতুন চাকরিও হবে প্রায় ৬ কোটির বেশি। এমনই জানাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রতিবেদন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) প্রকাশিত হয়েছে ডব্লিউইএফের ওই প্রতিবেদন। বিশ্বের প্রায় ৮০০ সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। সুইজ়ারল্যান্ডের দাভোসে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রতিবছরই বিশ্বনেতাদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। এবারের আলোচনায় উঠে এসেছিল ২০২৭ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে ৬ কোটি ৯ লাখ নতুন চাকরি হবে। কিন্তু একই সঙ্গে ৮ কোটি ৩ লাখ মানুষ কর্মহীনও হয়ে পড়বেন। সমীক্ষা বলছে, আগামী ৬ বছর শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের কাজ চলে যাবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের প্রায় ২ শতাংশ।
প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উন্নয়ন যেভাবে ঘটছে, তাতে কর্মক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলছে। একই সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী সঙ্কোচন হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারের ভাল দিক যেমন আছে তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্মীসঙ্কোচন। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলি যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনই এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীর আর প্রয়োজন বোধ করবে না সংস্থাগুলো। সেখান থেকেই আসতে পারে কর্মী সঙ্কোচন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক সার্চ টুল বা চ্যাটজিপিটির মতো সাম্প্রতিক প্রযুক্তির ব্যবহার ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই দশকের প্রথম দিকে স্বয়ংক্রিয় শক্তির ব্যবহার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গবেষণা বলছে, এখন যে সমস্ত বহুজাতিক ব্যবসায়িক সংস্থা কাজের প্রায় ৩৪ শতাংশ মেশিন দিয়ে করছে। ক্রমশ তা আরও বাড়বে।