ম্যানচেস্টার ডার্বি রোববার রাতে, সেটিও আবার সিটিজেনদের মাঠে। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা এবারের মৌসুমেও অপ্রতিরোধ্য। আর্লিং হালান্ড, রুবেন ডিয়াস, বের্নান্দো সিলভা, জ্যাক গ্রিলিশরা আছেন সেরা ছন্দে। এমন সময়ে পেপ গার্দিওলার সিটির মোকাবেলা করতে নামবে ধুঁকতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
টিম কম্বিনেশন, খেলোয়াড়দের ছন্দ এবং সবচেয়ে বড় কথা জয়ের ধারায় থাকা নিয়ে যখন দুশ্চিন্তা, তখন রেড ডেভিল বস এরিক টেন হাগকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পরিসংখ্যান। আন্তর্জাতিক বিরতির পর প্রথমবার মাঠে নামলে খুব একটা হারে না ইউনাইটেড। হয় জয়, না হয় ড্র। দলটির শেষ ছয় মৌসুমের খেরোখাতা এমনই বলছে।
জয়-পরাজয়ের রেশিও দেখলেই সেটা বোঝা যাবে। ২০১৬-১৭ মৌসুমের পর এ পর্যন্ত বিরতি থেকে এসে ২২টি লিগ ম্যাচ খেলেছে ইউনাইটেড। এর মাঝে পূর্ণ পয়েন্ট তুলেছে নয়বার, ড্র হয়েছে আরও ১০ বার। বাকি মাত্র তিনবার পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে দলটির। এমন সাফল্য এসেছে আন্তর্জাতিক বিরতির ঠিক পরের ম্যাচেই। ম্যানচেস্টার ডার্বির আগে টেন হাগ নিশ্চয় পরিসংখ্যানটি দেখলে খুশিই হবেন!
শেষ ছয় মৌসুমে রেড ডেভিলদের ডাগ আউট সামলেছেন তিন কোচ— হোসে মরিনহো, ওলে গানার সোলশেয়ার এবং রালফ র্যাঙ্গনিক (অন্তর্বর্তীকালীন)। তাদের মাঝে বাকি দুজনের চেয়ে এগিয়ে সোলশেয়ার। ম্যাচপ্রতি গড়ে ২ পয়েন্ট করে তুলেছেন এ নরওয়েজিয়ান। মরিনহো সেখানে ইউনাইটেডকে এনে দিয়েছে ১.৪৫ পয়েন্ট। র্যাঙ্গনিকের অধীনে এক ম্যাচ খেলেছে রেড ডেভিলরা, সেটিতে এসেছে ১ পয়েন্ট।
ইউনাইটেডকে সম্ভাব্য ৩৩ পয়েন্টের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ ১৬ পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন মরিনহো। বিরতির পর তার অধীনে ১১ ম্যাচের একটি হার, ৭টি ড্র এবং ৩টিতে জয় পেয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দলটি। সোলশেয়ার সেখানে দুটি হারের বিপরীতে এনেছে ছয়টি জয় ও দুই ড্র। লেস্টার সিটির বিপক্ষে একমাত্র ম্যাচে ড্র করেছিলেন র্যাঙ্গনিক।
এমন সময়ে পরিসংখ্যানটি সামনে আসল যখন উড়ে চলা সিটির মুখে পড়ছেন ডাচ কোচ টেন হাগ। রাণীর মৃত্যু এবং আন্তর্জাতিক বিরতি মিলিয়ে প্রায় মাসখানেক পর মাঠে নামবেন রোনালদো-স্যাঞ্চোরা। প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ ম্যাচে আর্সেনালকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তার দল। এবার সিটির মাঠে তাদের দুর্দান্ত সব আক্রমণ কিভাবে ঠেকাবেন এবং ঠিক কত পয়েন্ট তুলতে পারেন ডাচম্যান, সেটাই দেখার!