‘হুব্বা’র টিজারে নৃশংস মোশাররফ, যা বললেন ব্রাত্য
‘হুব্বা’র টিজার শেয়ার করে যা বললেন পরিচালক ব্রাত্য বসু
ক’দিন আগেই কলকাতার সিনেমা ‘হুব্বা’র ফার্স্ট লুক প্রকাশিত হয়েছিলো। কয়েক সেকেন্ডের ঝলকেই আন্দাজ করা গিয়েছিলো, এই সিনেমায় কেমন হতে চলেছে মোশাররফ করিমের চরিত্রটি! সে আভাস যেন আরও পোক্ত হলো ‘হুব্বা’র টিজার প্রকাশের পর!
শুক্রবার দুপুরে ‘হুব্বা’র টিজার প্রকাশ করলেন ছবির পরিচালক ব্রাত্য বসু। চল্লিশ সেকেন্ডের টিজারটি শেয়ার করে পশ্চিম বঙ্গের এই পরিচালক, অভিনেতা ও নির্দেশক লিখলেন,‘হুব্বা’র টিজারটি দেখুন এবং ট্রেলার লঞ্চ না হওয়া পর্যন্ত আপনার মেরুদণ্ড দিয়ে হিম স্রোত বয়ে যেতে দিন…!
ইতোমধ্যে টিজারটি প্রশংসা পেতে শুরু করেছে। নব্বই দশকের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গে উত্থান ঘটে হুব্বা শ্যামল নামক এক মাফিয়ার। রাজ্যের হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল। তার চরিত্রেই অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম!
টিজারে পাওয়া গেছে তার নৃশংসতার ছাপ! কয়েক ঝলকে যে মোশাররফ করিমকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হল, সেই রূপে এরআগে দেখা যায়নি তাকে। পরিচালক ব্রাত্য জানান, থ্রিলার এবং কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে হুব্বা। ছবিতে নাম ভূমিকায় মোশাররফ করিম ছাড়াও পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে।

হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন এই গ্যাংস্টার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আবির্ভূত হন হুব্বা। হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচারের ৩০টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে, পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে ছাড়া পান। ২০০৫ সালে সল্ট লেক থেকে হুব্বার অতিনাটকীয় গ্রেপ্তারির কথা আজও মনে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
শোনা যায়, ৭০টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত হুব্বা। এই ডন ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে বেজায় বিপাকেও পড়েছিল শাসকদল। পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ২০১১ সালে বেশকিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের পচগলা দেহ ভেসে উঠে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার।
বিজ্ঞাপন