টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নানা অজুহাতে এক বছর ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন মোমেনা সুলতানা নামের এক স্কুল শিক্ষিকা। তিনি ভূঞাপুরের ৩২ নম্বর বামনহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
কয়েক দফা ছুটি শেষে বিদ্যালয়ে যোগদান না করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ধরণের ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ২০১০ সালে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিন দফায় ছুটির আবেদন করেন। গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে চলতি মাস পর্যন্ত একদিনও বিদ্যালয়ে আসেননি তিনি। এ নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এক চিঠির মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর তার অনুপস্থিতির বিষয়টি জানায়।
এরমধ্যে তিন দফার ছুটি শেষে দীর্ঘদিন তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান না করায় তাকে গেল বছরের ২৭ ডিসেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার। এতে উল্লেখ করা হয়, পলায়নের জন্য তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না মর্মে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোমেনা সুলতানাকে একাধিবার মোবাইলে কল করলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তিন দফায় ছুটি ভোগ করেন। পরবর্তী চলতি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুপস্থিত তিনি। এরমধ্যে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি জবাব দেননি। চলতি মাসের ১৫-১৬ দিন আগে তাকে বিদ্যালয়ে যোগদানের কথা বলা হলেও তিনি বিদ্যালয়ে যোগদান করেননি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রমজান আলী বলেন, মোমেনা সুলতানা এক বছরে নানা অজুহাতে তিন দফায় ছুটির আবেদন করেছে। শুনেছি চতুর্থ বারের মতো ফের ছুটির আবেদন করেছেন। এতে তিনি ছুটি পাননি। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জেনেছি। তিনি বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম. জি মাহমুদ ইজদানী বলেন, মোমেনা সুলতানা অসুস্থতার জন্য গত বছর তিন দফায় ছুটির আবেদনের পর আবারও চতুর্থ দফায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেছেন। বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক বলেন, ওই শিক্ষিকার বিষয়ে অবগত রয়েছি। তার বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।