গণঅর্থায়নে নির্মিত যুবরাজ শামীমের মস্কোজয়ী সিনেমা ‘আদিম’ দেখে নিজের মুগ্ধতার কথা জানালেন কিংবদন্তী নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট (বিএফআই) মিলনায়তনে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী শেষে তিনি আদিমকে বাংলাদেশি সিনেমায় পাইওনিয়ার বলে মন্তব্য করেন!
চট্টগ্রামের শিল্প সংগঠন ‘বিস্তার’ এবং ‘বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট এলামনাই এসোসিয়েশন’ যৌথভাবে আদিম প্রদর্শনীর আয়োজন করে। মস্কো ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরষ্কৃত এই চলচ্চিত্রটির নির্মাণ অভিজ্ঞতা শোনান পরিচালক যুবরাজ শামীম।
প্রদর্শনী শেষে উপস্থিত সবাই চলচ্চিত্রটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনেকের মতে এটা সত্যিকার অর্থেই এমন একটি খাঁটি বিকল্পধারার সিনেমা যেটা প্রান্তিক জীবনের একখণ্ড মূর্ত ছবি।
বাংলাদেশের বিকল্প সিনেমার অন্যতম পথিকৃৎ চলচ্চিত্রকার তানভীর মোকাম্মেল ছবিটি দেখে বাংলাদেশি সিনেমায় এটিকে পাইওনিয়ার বলে মন্তব্য করে বলেন, “ফিল্মের জন্য এতো কষ্ট সাধারণত আমরা কাউকে করতে দেখি না। ‘আদিম’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে যুবরাজ সেটা পেরেছেন। অভিনয়তো বটেই, ‘আদিম’ এর স্টোরি টেলিং, মিউজিক, এডিটিং- সবকিছুই আমার কাছে দারুণ লেগেছে। সবকিছুতে আমার মনে হয় যুবরাজ একশোতে আটানব্বই নিরানব্বই পাবে! অসাধারণ ভালো কাজ হয়েছে। আমরা খুবই মুগ্ধ। বাংলাদেশি সিনেমায় ‘আদিম’ পাইওনিয়ার ওয়ার্ক হয়ে থাকবে।”
এসময় উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্য করে তানভীর মোকাম্মেল বলেন, আপনারা অনেকেই জানেন, যুবরাজ সিনেমা সম্পর্কিত কোনো প্রতিষ্ঠানে পড়েনি। সিনেমা নিয়ে তার প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই, সেটা আরেকবার সে প্রমাণ করলো এটা খুব জরুরী না। কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে একাগ্রতা থাকলে সবই সম্ভব।
টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তিতে হয়েছে ‘আদিম’ সিনেমার শুটিং। সিনেমার কাহিনীও বস্তিকে কেন্দ্র করেই। এর চরিত্ররাও বস্তিতেই বাস করেন। নির্মাতার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রসায়ন এর ব্যানারে নির্মিত এবং সহ প্রযোজক হিসেবে সিনেমাকার ও লোটাস ফিল্ম। ল্যাংড়া চরিত্রে বাদশা ছাড়াও আদিম এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুলাল, সোহাগী, সাদেক প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন আমির হামযা। সাউন্ড ও কালারে সুজন মাহমুদ। চলচ্চিত্রটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা রাসেল আহমেদকে।