নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আকস্মিকভাবে মাঠ ছেড়ে বাড়ি চলে যান বাংলাদেশ দলের অপারেশন্স ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা নাফিস ইকবাল। বিশ্বকাপেও অপারেশন্স ম্যানেজার হিসেবে তার ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় বিশ্বকাপে দায়িত্বে থাকছেন না জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার।
গুঞ্জন ছিল, তামিম ইকবালকে বাইরে রেখে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করাকে কেন্দ্র করে তার বড় ভাই নাফিস নিজেই দল ছেড়ে চলে গেছেন। যদিও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের দিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘ভবিষ্যতে বিসিবিতে থাকছি কী থাকছি না জানি না, আমি রিজাইন করিনি।’
বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে পুরো বিষয়টি খোলাসা করেছেন নাফিস। পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।
‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ানডের সময় জাতীয় দল ছাড়ার আমার পদক্ষেপটি আবেগতাড়িত ছিল না। কারণ ২৬ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের সকালে আমাকে জানানো হয়েছিল যে, আমি বিশ্বকাপের দলে থাকব না। গত বছর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমিও মানুষ এবং অন্য সবার মতো আবেগ ধারণ করি।’
‘আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গে আমার পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার ৬-৭ ঘণ্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষিত হয়।’
‘আমি সেদিন বোর্ডের সঙ্গে প্রটোকল এবং আচরণবিধি পুরোপুরি বজায় রেখেছি। মাঠে নামার আগে হেড কোচ এবং পরে বিসিবির সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার কাছে আমার মতামত জানিয়েছিলাম।’
‘আমি নিশ্চিত করেছি কোনো কাজ অর্ধেক করিনি। এর মধ্যে খেলার জন্য টিম শিটে স্বাক্ষর করেছি, নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য হিসাব বিভাগে কাগজপত্র ঠিকঠাক করেছি, বিশ্বকাপে আমাকে যে দৈনিক ভাতা দেয়া হয়েছিল তা ফেরত দিয়েছি।’
‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পরিস্থিতিগুলোকে সম্মান দেখানো উচিৎ এবং কেউ ঘটনাগুলো না জেনে তার মতামত দিতে পারে না।’
‘আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সৎ ছিলাম এবং এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পরিচালনার অংশ হিসেবে, আমি আমার সেরাটা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি এবং তাই করে যাব।’