দীর্ঘ মাঠের বাইরেই ছিলেন তামিম ইকবাল। খেলা হয়নি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও। মাঠে ফেরার অপেক্ষাটা দীর্ঘ হলেও তামিম ফিরেছেন বীরের বেশে। বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরা তামিমের হাত ধরে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। নেতৃত্বের পাশাপাশি পারফরম্যান্সেও আলো ছড়িয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। তাইতো হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। এমনকি আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের পুরস্কারও এসেছে তার হাতে।
ফাইনালসহ ১৫ ম্যাচ খেলা তামিম এবারের আসরে করেছেন ৪৯২ রান। একবার নটআউট থাকা এ ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস ৭১ রান। সেঞ্চুরি না পেলেও ফিফটি পেয়েছেন ৩টি। গড় ৩৫.১৪ এবং স্ট্রাইকরেট ১২৭.১৩। তার মোট বাউন্ডারি ৫৪টি এবং ছক্কা মেরেছেন ১৮টি।
টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কুমিল্লার তাওহীদ হৃদয়ও। ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে ৪৬২ রান করেছেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। সেটাও ১৪৯.৫১ স্ট্রাইক রেটে। বিপিএলের ইতিহাসে ১৪০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৪০০-এর বেশি রান করা একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হৃদয়। এর কীর্তি গড়া ক্রিকেটারদের প্রত্যেকেই বিদেশি। ছক্কা মারাতেও হৃদয় ছাড়িয়ে গেছেন স্থানীয় সবাইকে। এবারের টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৪টি ছক্কা মেরেছেন। বিপিএলের এক আসরে যা বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আসরে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে বল হাতে দারুণ করেছেন শরীফুল ইসলাম। ১২ ম্যাচে ৪৪.৪ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন ২২টি। তার চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পারেনি আর কেউ। জিতেছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর পুরস্কার। শরীফুলের আরেক সতীর্থ নাঈম শেখ ব্যাট হাতে দারুণ করেছেন আসরে। ১২ ম্যাচ খেলে ৩১০ রান করেছেন যার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৬৪ রানের। চার মেরেছেন ২৭টি এবং ছক্কা মেরেছেন ১৪টি। তার স্ট্রাইকরেট ১১৯.৬৯। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ে নজর কেড়েছেন। টুর্নামেন্টের সেরা পুরস্কারের ট্রফিটি তাই উঠেছে তার হাতে।