চট্টগ্রাম থেকে: সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ২৪৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম জুটি গড়ে মাঝারি সংগ্রহের পথ দেখান। সাকিব আল হাসানের অনবদ্য ব্যাটিং এনে দেয় লড়াই করার পুঁজি।
২৪৬ রান তুলে ৭ বল আগেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। নিজের জার্সি নম্বরের মতোই ৭৫ রান করে আউট হন সাকিব। ৭১ বলের ইনিংসে বাঁহাতি তারকা চার মারেন সাতটি।
বাংলাদেশ ইনিংসের মাঝপথে ক্রিজে এসে সাকিব লড়াই করেন ৪৯তম ওভার পর্যন্ত। জফরা আর্চারকে ছয় মারতে গিয়ে লংঅনে জেসন রয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন।
তার আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম ৯৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পথ দেখান। ১৭ রানে দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরার পর প্রতিরোধ গড়েন শান্ত ও মুশফিক। দুজনই ফিফটি তুলে আউট হন।
৭১ বলে ৫৩ করে রানআউটের শিকার হন শান্ত। মুশফিক ৯৩ বলে ৭০ রান করে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন। মি. ডিপেন্ডেবল মারেন ৬টি চার। তাদের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফেরেন দ্রুতই। ৯ বলে ৮ রান করে লেগ স্পিনার রশিদের বলেই বোল্ড হন।
সাকিবের সঙ্গে আফিফ হোসেনের জুটিতে আসে ৪৯ রান। ২৪ বলে দুটি চারে ১৫ রান করে কাভার ড্রাইভে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফিফ। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম দ্রুত ফিরলে ইবাদত হোসেনকে নন স্ট্রাইকে বেশি রেখে একাই রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত টিকতে পারলে সংগ্রহ আরও বড় হতে পারত!
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। লিটন দাসের পর দ্রুত সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশের দুই ওপেনারকে আউট করেছেন স্যাম কারেন। বাঁহাতি পেসার প্রথম ওভারে ফেরান লিটনকে (০)। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি অফস্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিলে ক্যাচ যায় ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের গ্লাভসে।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে ফেরেন আরেক ওপেনার তামিম। ৬ বলে একটি চারের সাহায্যে করেন ১১ রান। টাইগার অধিনায়ক যখন আউট হন, দল তখন ১৭ রানে।