অ্যাডিলেড থেকে: ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান। ১৬ ডট বল। অ্যাডিলেড ওভালে ভারতের ওপেনারদের যেভাবে চেপে ধরেছিলেন তাসকিন আহমেদ, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।
বিশ্বের অন্যতম ব্যাটিং শক্তির দল ভারতের বিপক্ষে এমন বোলিংয়ের পর তাসকিন জানালেন, নিজের শক্তির জায়গায় ভরসা রেখে ছুটে চলেছেন তিনি। সফলও হচ্ছেন টাইগার স্পিডস্টার।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলার তাসকিন। প্রথম তিন ম্যাচে উইকেট পেয়েছে বল হাতে নিতেই। ভারতের বিপক্ষে উইকেট না পেলেও ইকোনমি ছিল ৩.৭৫।
কীভাবে পারলেন লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের বোতলবন্দী করে রাখতে, ভারত ম্যাচে ছিল কিনা কোনো বিশেষ পরিকল্পনা? শুক্রবার অ্যাডিলেডে তাসকিন জানালেন সেসবই।
‘প্রত্যেকটা ম্যাচে আমার স্ট্রেন্থে ফোকাস করছি, সবাই ভালো ব্যাটসম্যানের বিপরীতে বোলিং করছে। আমি আমার শক্তিতে বিশ্বাস করছি। ওরা কী শট ভালো খেলে সেটা না দেখে, আমার স্ট্রেন্থ তো সক্ষম যেকোনো ব্যাটসম্যানের সামনে ভালো বোলিং করার। বেশিকিছু চিন্তা না করে প্রসেসে আগাচ্ছি, উইকেট কী পারমিট করতেছে, সেদিন সেই পার্টিকুলার সিচুয়েশনটা রিড করে বল করার চেষ্টা করছি।’
তাসকিন জানালেন উন্নতির ধারায় থেকে নিজেকে পাকা খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে চান, ‘আসলে প্রত্যেকটা ম্যাচই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট অনেক সময় পাবো, অনেক সময় পাবো না। আমার প্রসেসে আমি আগাচ্ছি। লক্ষ্য নিজেকে প্রত্যেকটা ম্যাচ, প্রত্যেকটা দিন পারপাসফুলি প্র্যাকটিস করে উন্নতি করা এবং চাই একজন পরিপূর্ণ খেলোয়াড় হতে, সব সাইড থেকেই আরও উন্নতি করে ছাড়িয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।’
বিশ্বকাপের প্রথম দুটি জয়েই ম্যাচের নায়ক তাসকিন। হয়েছেন ম্যাচসেরা। ভারতের বিপক্ষে জিততে পারলেও লিটনের সঙ্গে তিনিও হতেন সেরার দাবিদার। তবে ফল বাংলাদেশের পক্ষে আসেনি।
‘ম্যাচ হারলে যেকোনো ম্যাচই খুব খারাপ লাগে। ওই দিন রাতে ঘুমাতে সবারই কষ্ট হয়, সত্যি কথা যেটা। ম্যাচ হেরেছি, এটা অবশ্যই খারাপ লাগছে। তবে এখান থেকে অনেককিছু পজিটিভ নেয়ার আছে। ভালো ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। শেষটা ভালো করে যেনো যেতে পারি।’
রোববার অ্যাডিলেড ওভালে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। জয় পেলে আর সাউথ আফ্রিকা যদি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে সেমিফাইনালের আশাও জাগবে টাইগারদের।