রোববার প্রথম রাউন্ডের খেলা দিয়ে বসতে চলেছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসর। বাছাই শেষে মাঠে গড়াবে ‘সুপার টুয়েলভ’ তথা মূল আসর। আয়োজনে কোথাও ঘাটতি রাখছে না স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। চার-ছক্কার ফুলঝুরি দেখতে দেশটিতে ভ্রমণ করছে লাখো ক্রিকেটপ্রেমী। তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত সাত ভেন্যুর শহরগুলো।
কোথায় কোথায় গড়াবে ব্যাট-বলের ঠুক-ঠাক, কোথায় উন্মাদনা সবুজ গালিচা পেরিয়ে আছড়ে পড়বে গ্যালারিতে? সেসবের পরিচিতিতে এপর্বে থাকছে এবারের ছোট ফরম্যাটের বিশ্ব আসরের অন্যতম ভেন্যু ব্রিসবেনের দ্য গ্যাবার কথা।
বিশাল ব্রিসবেন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুধু ক্রিকেট নয়, ফুটবল-রাগবি, অ্যাথলেটিকস-বেসবল হয়ে সাইক্লিংও আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়া। বড় প্রশ্ন হল, ক্রিকেটে বড় বড় কিছু ইতিহাসের সাক্ষী স্টেডিয়ামটিকে কেন দ্য গ্যাবা ডাকা হয়!
কুইন্সল্যান্ডের ওলুংগাব্বা এলাকার নাম অনুসারে পরিচিত হয়ে আসছে ‘গ্যাবা’। ১৮৯৫ সালে ৪২,০০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
ব্রিসবেনের বৃহৎ আকৃতির স্টেডিয়ামটি মূলত ক্রিকেটের জন্যই বানানো হয়েছিল। ১৮৯৬ সালে পার্লামেন্ট বনাম দ্য প্রেসের মধ্যকার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা সেখানে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়। তারও আগে, ১৮৬০ সালের দিকে এই মাঠে ক্রিকেট খেলা হলেও সেটি গ্রিন হিলস নামে পরিচিত ছিল। ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়া ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্ট খেলাটি গড়িয়েছিল এই মাঠেই।
‘দ্য গ্যাবা’র পিচ সাধারণত পেসবান্ধব। বোলাররা সুইংয়ের পাশাপাশি কাটার-স্লোয়ারও পেয়ে থাকেন। বড় মাঠ ও বোলারদের সুবিধা থাকলেও উইকেটগুলো রানপ্রসবা।
২০০৬ সালে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে নিজেদের প্রথম টি-টুয়েন্টিটি এই মাঠেই খেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩০ অক্টোবর যেখানে প্রথম রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে লড়বে বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে ‘এ’ গ্রুপের তিনটি ম্যাচ হবে গ্যাবায়।